আসন্ন ঈদুল আযহায় সুলতান বিক্রি হবে ২০ লাখ টাকায়। এমনটিই বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খামারী রুহুল আমীন। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। রুহুল আমিন জানান সুলতানের বর্তমান ওজন ১ হাজার ৭ শত কেজি বা ৪২ মণ। তিনি আরও বলেন, সুলতান শেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ ওজনের ষাঁড়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সুলতানকে করা হচ্ছে বাড়তি যত্ন। সবসময় রাখা হচ্ছে তার শারীরিক খবরও। তবুও প্রিয় সুলতান কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পল্লী চিকিৎসক রুহুল আমিন। কারণ গত কোরবানির ঈদে জেলায় জনপ্রিয় থাকার পরও কাংখিত দামে সুলতানকে বিক্রি করতে পারেননি তিনি। এবিষয়ে খামারী রুহুল জানান,দুটি অস্ট্রেলিয়ান গাভী দিয়ে তিনি গড়ে তুলেন ছোট খামার। সেই খামারে থাকা একটি গাভী ৩ বছর আগে একটি ষাঁড় বাছুরের জন্ম দেয়। ধীরে ধীরে সেই বাছুরটি বড় হয়, মোটাতাজা হয়। তখন তার নাম আদর করে রেখেছিলাম সুলতান। খড়, তাজা ঘাস বাদেও সুলতানকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কেজি করে খৈল, ভুষি, ভাতের মাড় ও চালের খুদি খাওয়াতে হয়। রহুল আরও জানান, গত বছর করোনার কারণে সুলতানকে বাজারে তুলতে পারেননি। তাই খামারে এসেই অনেকে দরদাম করেছে। সেই সময় সর্বোচ্চ দাম বলা হয়েছিল ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন ১৫ লাখ। তাই দাম পছন্দমত না হওয়ায় সুলতানকে বিক্রি করিনি। এক বছরে সুলতানের ওজন বেড়েছে। তাই এবার তাম দামও বেড়ে গেছে। সুলতানের বর্তমান ওজন প্রায় ১ হাজার ৭০০ কেজি বা ৪২ মন। এবারের কোরবানীর ঈদে এর দাম চাইবো ২০ লাখ টাকা। রহুল আমীন বলেন, সুলতানকে খামার থেকে বের করতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ জন লাগে। তাই সচরাচর তাকে বের করি না।শেরপুরে এই দামের গরুর ক্রেতা খুব একটা নেই। তাই সুলতানকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে তাকে। এত বড় ষাঁড়কে ট্রাক বা কোনো যানবাহনে নেয়াও কঠিন। করোনার কারণে হাটে তোলা না গেলে এবারও বেশ বিপদে পড়ে যাবো। সুলতানকে নিয়ে গ্রামের সকলের পাশাপাশি জেলার অনেকেরই রয়েছে কৌতূহল। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশালকৃতির সুলতানকে দেখতে আসে অনেকেই। তুলছেন সেলফি।সুলতানকে দেখতে আসা ওয়াহিদুল বলেন, শেরপুর জেলায় সচরাচর এমন বড় ষাঁড় দেখা যায় না। কয়েকজনের কাছে সুলতানের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানীর হাটে জনসমাগম কম হতে পারে। তাই আমরা অনলাইন প্ল্যাটফরম করেছি যাতে সুলতানের মতো ভালো গরুসহ সব ধরনের পশু সহজে অনলাইনে ছবি দেখে বিক্রি করা যায়।