ফরিদপুরের নগরকান্দায় অসহায় এক চা বিক্রেতা দশম শ্রেনীর ছাত্রী নাম তার মিলি। তার জীবনী নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ফরিদপুরের নগরকান্দার সংগ্রামী দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী চা বিক্রেতা মিলি আক্তারের পাশে দাঁড়ালেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু। মিলি আক্তারথকে একটি সরকারি ঘর করে দিতে আশ্বাস দেন এবং সংসার খরচ ও বৃদ্ধ অসুস্থ্য পিতার চিকিৎসা করাতে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক-ভাবে সহযোগিতা করেন এবং তাঁর পড়া-লেখার দায়িত্ব নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু। উল্লেখ্য মিলি আক্তার উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুঁতরাহাটি গ্রামের অসুস্থ বৃদ্ধ আঃ বারেক ব্যাপারীর মেয়ে। মা সূর্য খাতুনও থাকেন প্রায় সময়ই অসুস্থ। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে মিলি সবার ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে আর বড় দুই ভাই বিয়ে করে পেতেছেন ভিন্ন সংসার। ক্লাস থ্রিতে পড়া অবস্থায় মায়ে সাথে চায়ের দোকানে যোগ দেয় মিলি। সেই থেকেই চা বিক্রেতা মিলি এখন দশম শ্রেনীতেও পড়াশোনা করছেন ধুঁতরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। মিলি স্থানীয় একটি বাজারে চা তৈরি করে বিক্রি করেন ওই দোকানের আয়েই চলে তাদের সংসার। সংসার চালানোর পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে তার নিজের পড়ালেখা। তাঁর সংগ্রামী জীবনের গল্প বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু,র। সেই সুত্রধরে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলির বাড়ী ধুঁতরাহাটি গ্রামে গিয়ে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দেন। এবং সরকারী ঘর ও মিলির লেখাপড়ার খরচের আশ্বাস প্রদান করেন। মিলি বলেন আমি পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। কেউ যেন বলতে না পারে আমি শুধু চা ই বিক্রি করতে পারি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন সমাজের এধরনে অবহেলিত লোকদের পাশে দাড়াতে পেরে বা আরো কিছু করতে পারলে নিজের কাছেই ভাল লাগবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল কবির, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন লিটন, মিজানুর রহমান মিজান ও নিজাম নকিব।