রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ছয় বছরেও বিচার শুরু হয়নি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১

শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ঘটনার ছয় বছর পেরিয়েছে। এখনও বিচার শুরু না হওয়ায় নিহতের পরিবারসহ সুধীমহল হতাশ। ২০১৬ সালের ওই দিনে দেশের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাতের আগে মাঠে প্রবেশপথের সবুজবাগ সংযোগ সড়কে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের সামনের তল্লাশি চৌকিতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেড, গুলি ও চাপাতির আঘাতে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল, একজন গৃহবধূ ও এক জঙ্গি নিহত হন। এ ছাড়া জঙ্গি, পুলিশ ও মুসুল্লিসহ অন্তত ১৬ ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। সেদিনের স্বজন হারানোর দুঃসহ স্মৃতি আর দেশ কাঁপানো বীভৎস ঘটনা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় এ এলাকার মানুষকে। এ ধরণের নৃশংস ও বর্বরোচিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি শাহ আজিজুল হক জানান জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হলেও জঙ্গিদের যথা সময়ে কোর্টে হাজির করতে না পারায় বিচারকার্য বিলম্বিত হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজন কিশোরগঞ্জ কারাগারে ও ৩ জন কাশিমপুর কারাগারে থাকায় সাক্ষী আসা স্বত্বেও বিচার কার্য শুরু হচ্ছে না। জঙ্গি হামলায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল আনছারুল হক ও জহিরুল ইসলাম এবং সবুজবাগ এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক এবং আবির হোসেন নামে এক জঙ্গি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ ছাড়া ১২ পুলিশ সদস্য এবং চার মুসুল্লি গুরুতর আহত হন। এ সময় পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউল ইসলাম ডন নামে এক সশস্ত্র জঙ্গি এবং তানিম নামে স্থানীয় এক সন্দেহভাজন যুবক আটক হয়। আর এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় সর্বশেষ মোট ২৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়। এদের প্রায় সবাই হলি আর্টিজান রোস্তোরাঁয় হামলা মামলাও আসামি। এসব আসামির মধ্যে ১৯ জনই বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা গ্রামের জাহিদুল হক তানিম, গাইবান্ধার রাঘবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজারদীঘা গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, গাইবান্ধার গান্ধারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও কুষ্টিয়ার সাদীপুর কাবলীপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ। সরকার এ ঘটনায় নিহত দুই পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা এবং নিহত গৃহবধূর সন্তানকে ব্যাংকে চাকরি দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে সফল তদন্ত শেষে মামলাটির চার্জশিট দিয়েছে। এ জঙ্গি হামলা আমাদের জন্যও বিশেষ বার্তা ছিল। আজকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কবস্থা গ্রহণ করে এদের নির্মূল করতে পারছি। এ মামলার সব আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হবে বলে মনে করেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com