বাগেরহাটের মোরলগঞ্জ উপজেলার গ্রামীন জনপদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের অভাবেএলাকাবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সুদীর্ঘ ২৫ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান। বর্ষা কালে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয় গামছা পরে। আর শুকনো মৌসুমে ভ্যান গাড়ি চলাচলের মাধ্যম। এলাকাবাসী জানিয়েছে, উপজেলার ১৬নং খাউলিয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের খালের পশ্চিমপাড়ে ২কিলোমিটার লম্বা রাস্তার একপাশে রয়েছে ওয়াহেদ মৌলভী মসজিদ এবং আরেক পাশে রয়েছে বাইতুল কদর জামে মসজিদ। মাঝে রয়েছে ‘নিশানবাড়িয়া গ্রামের ২কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা’। মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসতে সমস্যা হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পর একবার মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়। এর পর আর কোন জন প্রতিনিধির চোখ পড়েনি। নির্বাচন আসলে প্রত্যেকের উন্নয়ন ও আশ^াসের ফুলঝুড়িতে ভরে যায়। এর পর কারো এই রাস্তাটির উন্নয়নের কথা ভুলে যায়। এই বর্ষা মৌসুম ও ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে বিলের সাথে মিশে গিয়ে ঠিক পাওয়া যাচ্ছেনা, কোনটি রাস্তা আর কোনটি বিল। রাস্তর ওপর পানি ঢেই খেলছে। ওই এলাকায় তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। এলাকার ব্যস্ততম রাস্তা এটি। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। বর্ষা কালে শিক্ষার্থী ও রোগীদের বিপাকে পড়তে হয়। ওই রাস্তাটি মোরেলগঞ্জ পৌর শহর ও উপজেলা, সন্নাসী বাজার এবং কেয়ারের বাজার যাবার একমাত্র পথ। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাঁচা রাস্তাটিতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এই গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে চলে গেছে কেয়ার বাজার থেকে সন্নাসী ও উত্তর পাশ দিয়ে বাদশা মিয়ার হাট থেকে খাউলিয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তা। দু’টি পাকা রাস্তার মাঝে ২কিলোমিটার সংযোগ কাঁচা রাস্তা রয়েছে। ওই গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ¦ললেও রাস্তাটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ২৫ বছরেও। বাইতুল কদর জামে মসজিদের উপদেষ্ঠা আলহাজ¦ মো. সুজন মিয়া বলেন , এই রাস্তাটি এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। তিনি সরকারের প্রতি জোর আবেদন জানান রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য। বর্তমান সরকার দেশ উন্নয়নে এগিয়ে গেলেও এলাকাটি রয়েছে উন্নয়ন বঞ্চিত। এলাকার মো.মহারাজ হাওলাদার, মো. মহিদ হাওলাদার ও মো.সাহেব আলী তালুকদার জানান, বর্তমান সরকার দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এলাকাবাসী রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।