অল্প খরচ লাভ বেশি ফলন ভালো হওয়ায় নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে কলা চাষে। কলা চাষ করে অনেক কৃষক তাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। কলার ফলন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিন্নাকুরীর একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলা হচ্ছে এক বছরের ফসল জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়।অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং শ্রমিক খরচ অনেক কম এ জন্য এ অঞ্চলের কৃষকেরা দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছে বলে জানা যায়। এছাড়া ফলন ভালো হওয়ায় এবং ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি ও কৃষকেরা।তাদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়। চাম্পা, চিনি চাম্পা, সাগর, মাল ভোগ জাতের কলার চারা রোপণ করেছন তারা। রোপণকৃত গাছ থেকে প্রায় এক বছর পর পর কলা পাওয়া যায়। কৈমারী ২নং ওয়ার্ড বিন্নাকুড়ি হাকিনুর রহমান(৩৫) জানান, তিনি এক বিঘা সাগর কলার রোপন করেছেন। গত বছরে কলা চাষে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও কথা হয় একই ইউনিয়নের জনাব আলী(৭৫) তিনি ১৫ শতক সাগর কলা রোপন করেছেন। তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকে আগ্রহ পেয়েছেন। লাল কাটু(৭০) নামের আরও এক কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান ১ বিঘা সাগর ও চিনি চাম্পা কলা রোপন করেছেন। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ চাইলে যথাযথ পরামর্শ পেয়েছেন বলে তারা জানান, বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছে কলার কাঁদি প্রায় সারা বছরই ফলন দেয়। প্রতি কাঁদি কাঁচা কলা স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।জানা যায় পৌরসভার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে কলা কিনে নিয়ে যান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেনের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি খবর পত্র কে জানান, উপজেলায় কলার মোট চাষ হয় ১৫ থেকে ১৬ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে বিন্যাকুড়ীতেই কলার চাষ হয় ১০ হেক্টর।এ অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া দুটোই কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। এছাড়া কলাচাষিদের উৎসাহিত করা সহ সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।