শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

দীঘিতে রাস্তা বিলীন: অর্ধশত পরিবারের চলাচলে ভোগান্তি

লাকসাম প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

রাস্তা দীঘিতে ভেঙ্গে পড়ায় বিগত পাঁচ বছর নিদারুণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অর্ধশত পরিবারের অন্ততঃ আড়াইশ’ নারী-পুরুষ ও শিশু। ঘটনাটি লাকসামের মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীয়াং গ্রামের। সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রীয়াং উত্তর পাড়ার ৪ একরের সরকারি বিশাল জমিলা দীঘির পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ে প্রায় আড়াই শ’ লোকের বসবাস। এখানে বাস করেন, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবিসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থী। তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি দীঘির দক্ষিণ পাড়সহ ভেঙ্গে পড়ে আছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। এতে নিত্য যাতায়াতে ভোগান্তিসহ মৃতদের দাফন, প্রসূতি ও রোগী ব্যক্তিদের চিকিৎসায় অমানবিক কষ্ট সইতে হচ্ছে। জমিলা দীঘির পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা শতবর্ষী আবদুল হাকিম জানান, রাস্তা ভেঙ্গে দীঘিতে তলিয়ে গেছে ৫/৬ বছর হয়। ছেলে-বুড়ো হাঁটতে হয় অন্যের ঘর-বাড়ির ভেতর দিয়ে। কেউ অসুস্থ হলে কষ্টের সীমা থাকে না। প্রসূতি ও রোগী ব্যক্তিদের হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে নিতে নিদারুণ ভোগান্তি হয়। তিনি আরও বলেন, সরকার এ দীঘি লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় করলেও পাড় ও রাস্তা বাঁধাইয়ের উদ্যোগ না নেয়ায় এলাকার লোকজন হতাশ। বয়োঃবৃদ্ধ হাজী মোঃ উসমান গনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা ভেঙ্গে দীঘিতে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখে গেছেন। কিন্তু রাস্তা হচ্ছেনা। প্রতিদিন যাতায়াতে এখানকার নারী-শিশু-বৃদ্ধ লোকজন অমানবিক কষ্ট সইছেন। বাড়ির মালামাল পরিবহনেও হিমশিম খেতে হয়। দীঘির দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দা প্রবাসী জহির আহমেদ জানান, প্রায় ৮ ফুট চওড়া রাস্তাটি ভাংতে ভাংতে পাড়সহ দীঘিতে তলিয়ে গেছে। এ রাস্তায় রিকশা-গাড়িতে লোকজন যাতায়াতসহ মালামাল পরিবহন ও উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতেন। এখন রাস্তা না থাকায় অস্বস্তিতে দিনাতিপাত করছেন লোকজন। অন্যের ঘর-বাড়ির ভেতর দিয়ে চলাচল করায় প্রায়ই ঝগড়া-ঝাটি হয়ে থাকে। ১৪ বছর প্রবাস জীবন শেষে গত ৩ বছর থেকে প্যারালাইজড হয়ে পড়া ছেরাজুল হক(৭৫) জানান, এ পাড়ার মানুষ অন্যের জায়গা দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। কেউ মারা গেলে কোলে তুলে নিয়ে লাশ দাফন করা লাগে। প্রবাসীর স্ত্রী শাহানারা বেগম বলেন, ২০১৯ সালে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ২৮০ ফুট প্যালাওয়ালসহ রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আবেদন করলে এ এলাকার এমপি এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম মহোদয় স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তবুও রাস্তা হয়নি। দীঘির পাড়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আমরা মাননীয় মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সওদাগর জানান, সরজমিনে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেব। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম বলেন, মন্ত্রী মহোদয়, জেলা পরিষদ বা উপজেলা পরিষদে বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি নির্মাণ করে দেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com