ফরিদপুরের নগরকান্দা ভূমি অফিসের পুকুর ভরাাট ও পুকুরের পানি নদীতে নামাতে কতৃপক্ষ প্রকল্প দেখিয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ করে। সে সময় ড্রেন খুঁড়ে মাটি উঠিয়ে রাস্তার উপর স্তুপ করে রাখে। যে কারনে রাস্তাদিয়ে যানচলাচল ও কৃষকদের ধান আনা নেওয়া বন্ধ সহ পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এমনকি রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে বেচাকেনার বিঘ্ন ঘটছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে পুকুরে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন ব্যবহার করায় নির্মাণ পিছিয়ে পড়ে। ড্রেনটি নির্মান করায় পৌরবাসী সহ বাজারের দোকানিদের তেমন উপকারে না আসলেও সরকারের টাকার শ্রাদ্ব হয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করায় ড্রেনের কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ে। বছরের অর্ধেক সময় ৬ মাস ধরে রাস্তার উপর স্তুপ করে মাটি রাখায় পথচারীদেরও এই ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। ধীর গতিতে পুকুর ভরাটের কাজ শেষ হলেও কোন সুরাহা মেলেনি রাস্তার উপর জমিয়ে রাখা মাটির স্তুপের। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের কাঠ পট্টি ও ধান বাজারে স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে। দেখা মিলছে না কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাভলী ইয়াসমিন এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন- আমি নতুন এসেছি তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না, কাজটি আমার অধীনে নয়, আমার অফিসের সামনে হওয়ায় আমি ও গাড়ী নিয়ে অফিসে যাতায়াতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি, আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়টি ইউএনও স্যারকে বলেছি। এদিকে এ কাজের ঠিকাদার ফুলসুতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন এর সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন- দ্রুত কাজটি শেষ করে দিব। রাস্তার দুথ পাশের দোকানদারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। সর্বোপরি এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে সর্বোস্তরের মানুষের অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী কোন যানবাহন ঢুকতে না পারায় বিকল্প সড়ক হিসেবে সকলেই কলেজ রোড ব্যবহার করছে। বাজারে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার জন্য একটা সড়ক ব্যবহার করায় সেখানে ও সবসময়ই যানজট লেগেই থাকে। দ্রুত এ কাজ শেষ করার জোরদাবী জানান ভুক্তভোগীরা।