সিরাজগঞ্জে আজও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি, একইসাথে অভ্যান্তরিন নদ নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যায় বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরা। গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জে’র গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানান, বুধবার (১৮ আগস্ট) ভোর ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভোর ছয়টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে যমুনা নদীর সাথে সাথেই জেলার অভ্যান্তরিন চলনবিল, ফুলঝোড়, ইছামতি, করতোয়া ও বড়াল নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্রমাবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির। প্রতিদিনই বন্যাকবলিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বসতবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মানুষ। জেলার অভ্যান্তরিন বড়াল নদীর পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ন গো-চারনভুমি ও সবুজ ঘাস। ফলে ৫ লক্ষাধিক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। খামারিদের বাড়ির ছোট ছোট খামারগুলিতে গাদাগাদি করে গবাদি পশু রাখায় আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। বর্ষাকালে সবুজ ঘাস না থাকায় খড়, ভুসি, খৈলসহ প্যাকেটজাত খাবারে নির্ভরতা বাড়ায় বেড়েছে ব্যায়-কমেছে দুগ্ধ উৎপাদন। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারি সমবায় সমিতি লিমিটেড (মিল্কভিটা) পরিচালক ও গো-খামারি আব্দুস সামাদ ফকির জানান, চলমান বন্যায় গো-খামারিরা ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছে। সবুজ ঘাস না থাকায় খড়সহ অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। প্যাকেটজাত কৃত্তিম এসকল খাবারের দাম বেড়েছে বর্ষা মৌসুমে। এই গো-খামারি আরো জানান, অধিক মুল্যে এসব খাবার খাওয়ানোর পরেও দুধের উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া ছোট জায়গায় ইটের উপরে গাদাগাদি করে রাখার ফলে গবাদি পশুর নানা রোগ দেখা দিচ্ছে।