শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিজয় ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

নাগালের বাইরে অধিকাংশ সবজি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

শীতের সবজি শিম ও ফুলকপি আগাম রাজধানীর বাজারে চলে আসলেও দাম সাধারণের অনেকটাই নাগালের বাইরে। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। আর ছোট আকারের ফুলকপি কিনতেও লাগছে ৩০-৫০ টাকা। শীতের দুই আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও গাজর। এ দুটি সবজি কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে একশ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। তবে করলা, পটল, কচুরমুখীসহ কিছু সবজি তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। তিন সপ্তাহ ধরে এই দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। অবশ্য আগের তুলনায় বাজারে শিমের সরবরাহ বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, ‘ধীরে ধীরে বাজারে শিমের সরবরাহ বাড়ছে। তবে নতুন সবজি হওয়ায় বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণে দাম একটু বেশি। আর কিছুদিন পর শিমের দাম কমে অর্ধেকে চলে আসবে।’ খিলগাঁও তালতলা বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে দুটি ফুলকপি কেনা সাইদা বেগম বলেন, ‘ফুলকপি বাজারে নতুন এসেছে তাই কিনলাম। সাইজ হিসেবে দাম অনেক বেশি। দুটি ফুলকপি দিয়ে কোনো রকমে এক বেলার রান্না হবে। এক বেলার এক সবজির দামই ৮০ টাকা! এটা নিশ্চয় কম না।’ এদিকে আগের মতো গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে। এছাড়া আগের মতো ঢ্যাঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহের মতো ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এদিকে যে কোনো ধরনের শাক কিনতেই ক্রেতাদের চড়া দাম দিতে হচ্ছে। তবে অন্যান্য শাকের তুলনায় লালশাকের দাম একটু বেশি। ছোট এক আটি লালশাকের জন্য ক্রেতাদের ২০ থেকে ৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে। মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা আটি। ৫ থেকে ১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে কলমি শাক। এর সঙ্গে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা। মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এদিকে বাজারে এখন ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com