শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

ডিজিটাল আর্ট বিক্রি করে প্রায় ৩ লাখ পাউন্ডের মালিক ১২ বছরের বালক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

তিমি’র ডিজিটাল ছবি তৈরি করে মাত্র ১২ বছর বয়সী বালক বেনিয়ামিন আহমেদ কামিয়ে নিয়েছে প্রায় তিন লাখ পাউন্ড। এসব ডিজিটাল ছবির মালিকানা সে বিক্রি করেছে টোকেনভিত্তিতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, স্কুল ছুটির সময় বেনিয়ামিন আহমেদ তিমির যে ছবি এঁকেছে তার নাম দেয়া হয়েছে ‘উইয়ার্ড হোয়েলস’। ডিজিটাল এসব ছবি সে এঁকেছে পিক্সেলেটেড আর্টওয়ার্ক হিসেবে। আর তা ভাইরাল হয়ে গেছে সারা দুনিয়ায়। ডিজিটাল ব্যবসায় যে কিভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে, তার একটি মডেল হতে পারে বেনিয়ামিন আহমেদের এই ব্যবসা। এক্ষেত্রে সে ব্যাপকমাত্রায় সফল। তবে এমন কর্মকা-ে ব্যাংকিং খাতে বিঘœ ঘটতে পারে। বেনিয়ামিন আহমেদের পিতা ইমরান আহমেদ একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। তিনি ছেলের এই আর্টকে ‘ডিজিটাল পোকিমন কার্ডের’ মতো বলেই মন্তব্য করেন। বলেন, যথেষ্ট সফলতা পেয়েছে। কারণ, যারা এসব আর্টওয়ার্ক সংগ্রহ করেছেন তারা এর ঐতিহাসিক মূল্য সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারেন। তার ভাষায়- একবার ভাবুন তো, যখন প্রিন্টিং প্রেস এসেছিল, তখন যদি আপনার হাতে ১২ বছর বয়সী একটি বালকের লেখা একটি অরিজিনাল বই আসতো, তখনকার অনুভূতির কথা। এ জন্যই তা ভাইরাল হবে। দীর্ঘ সময় পরে এর মূল্য সম্পর্কে আপনি একবার কল্পনা করুন তো! কল্পনা করুন তো এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে।

বেনিয়ামিন আহমেদ ভিডিও গেম ‘মিনেক্রাফটে’ দেখা তিমির সাধারণ স্টাইলের ৩৩৫০টি এমন ডিজিটাল ছবি সৃষ্টি করেছে। তা পরে সে নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি) হিসেবে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। এনএফটি কোনো অঙ্কনচিত্রকে মালিকানা হিসেবে ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয় টোকেন হিসেবে। এই মালিকানা এই পদ্ধতিতে কেনা যায়। আবার বিক্রিও করা যায়। যিনি কেনেন, তার কাছে প্রকৃত চিত্রকর্ম থাকার প্রয়োজন হয় না। এসব চিত্রকর্ম ব্লকচেইন নামে বড় একটি স্টোরে জমা থাকে। এর মালিকানা স্বত্ব থাকে, যিনি কেনেন, তার।
বেনিয়ামিন আহমেদ বলেছে, আমি তিমিকে বেছে নিয়েছি। কারণ, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তিমি এমন একটি জিনিস, যার দাম এক হাজার বিটকয়েন পর্যন্ত। আমি বলি, যারা একটি তিমির মালিক হলেন, তারা নিজেরা একটি তিমি হয়ে গেলেন। মানুষ আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এর কারণ, আমার বয়স অল্প। অনেকে আমার কাহিনী দেখেছেন এবং তারা যুক্ত হয়েছেন আমার সঙ্গে। তারপর এর বিস্তার হয়েছে সর্বত্র।
টুইটার, লিঙ্কডইন এবং ইউটিউবে নিজের এসব কর্মকা-ের বিষয় প্রচার করেছে বেনিয়ামিন আহমেদ। সে ও তার ভাই ইউসেফ পাঁচ ও ছয় বছর বয়স থেকেই কোডিং করে যাচ্ছে। এতে উৎসাহ দিয়েছেন তাদের পিতা। বেনিয়ামিন আহমেদ বলেছে, প্রতিদিন আমরা কমপক্ষে একটি কোডিং চর্চা করি। কয়েক বছর ধরে আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। তার পিতা ইমরান বলেছেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, তার ছেলেরা অল্প বয়সেই কোডিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কোডওয়্যারস নামের একটি প্লাটফরমে তারা শীর্ষ শতকরা ৬ ভাগে র‌্যাংকড হয়েছে। কোডওয়্যারস হলো বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের শিক্ষা বিষয়ক একটি প্লাটফরম।
ইমরান আহমেদ বলেন, এই চিত্রকর্ম এভাবে কেনার অর্থ হলো তারা খুব অল্প বয়সী আর্টিস্ট। আপনি তাদের কাছ থেকে এসব কেনার বিষয়ে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করেন- কেন তারা হাজার হাজার ডলার দিয়ে কিনছেন এসব? ব্লকচেইনে যেসব মানুষ আছেন, তারা বলবেন, তারা এখানে এসেছেন পরের ৫০০ বছরের জন্য।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com