কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীর নানা সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে দিন রাত অবিরাম গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। বিশেষ করে নদীভাঙ্গন রোধ, বিধাবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড শতভাগ বাস্তবায়ন সহ চরবাসীর উন্নয়নে তার ভুমিকা অতুলনীয়। তিনি নদীভাঙ্গন রোধ ও চরবাসীদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে বরাদ্দ এনে জনস্বার্থে উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ১৯৬৩ সালে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম করিমপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ করিম উদ্দিন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে ১৯৭০ হতে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত এমপি। তিনি ১৯৫৪ সাল হতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান ছিলেন এবং গভর্নর পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। মাহবুবুজ্জামানের মাতার নাম নুরজাহান করিম। মরহুম আলহাজ করিম উদ্দিনের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সমুহ: করিম উদ্দীন পাবলিক কলেজ (বর্তমান সরকারী) করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, করিমপুর নেছারিয়া মাদ্রাসা, মদনপুর বৈরাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিম উদ্দিন একাডেমী, দক্ষিন ঘনেশ্যাম কেইউ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাশীরাম আব্দুল গফুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুদ্রাহবি নেছারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিমপুর পোষ্ট অফিস, করিম উদ্দিন শিশু ফাউন্ডেশন, কালীগঞ্জ পলিটেনিক ইন্সটিটিউট, করিমপুর এতিমখান, করিমপুর নুরজাহান শামসুন্নাহার প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়, এন জামান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে এন কাঞ্চনশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিমপুর নুরজাহান শামসুন্নাহার মা ও শিশু হাসপাতাল, কেন্দিয় কবরস্থান, এবং কালীগঞ্জ মডেল মসজিদর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পিতার রাজনৈকি আদর্শকে লালন করে উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান করে ছাত্র রাজনীতীর সাথে জড়িত হন। পিতার হাত ধরে প্রত্যেকটি দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করতেন তিনি। দিন দিন বেড়ে যায় তার জনপ্রিয়তা। ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ১৯৯৪ সালে বিপুল ভোটে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২১ বছরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সরকারের বরাদ্দ দেয়া ভিজিএফ, ভিজিটি সহ সকল মালামাল সকল প্রকার অনিয়মের উর্দ্ধে থেকে অসহায়, গরীব, বিধাব, বয়স্কদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বন্টন করায় তিনি হয়ে উঠেন সকলের মধ্যমনি। জন্মনিয়ন্ত্রনে শতভাগ সাফল্য হওয়ায় ২০০৬ সালে প্লান বাংলাদেশ এর সম্মাননা ক্রেষ্ট উপহার পান তিনি। তিনি ২০১০ সালে জেলা সমাজকল্যান পরিষদ কর্তৃক জেলার শ্রেষ্ঠ সমাজকর্মী এবং ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ মৎসচাষী কার্পমিশ্র নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, ২০১১ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০১২ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সরকারী খরচে সিঙ্গাপুর, মালেয়সিয়া শিক্ষা সফর করেন। তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৩ সালে লালমনিরহাট জেলা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি, ১৯৮১ সাল হতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ অন্বেশা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে উরির চরে বন্যা ও ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য মাননীয় রাষ্টপতির নিকট থেকে প্রাপ্ত ত্রান সঠিক ভাবে বিতরন করে সততার জন্য সুনাম অর্জন করেছেন এবং একজন সৎ আদর্শবান জনদরদী জনসেবক হিসেবে উপজেলাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে সকলের বন্ধু হয়ে স্থান করে নেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় শুধু ইউনিয়নবাসীর কাছে নয় পুরো উপজেলাবাসীর কছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। পুরো উপজেলায় একজন জনদরদী জনসেবক হিসেবে তার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। জনপ্রিয়তায় তিনি হয়ে উঠেন অপ্রতিদন্ধি। ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ২০১৪ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একইভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় তার জনপ্রিয়তা হয়ে উঠে আকাশচুম্বী। ২০১৯ সালেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপ্রতিদ¦ন্ধি প্রার্থী হিসেবে বিগত ২০১৪ সালের প্রাপ্ত ভোটের ৩গুন ভোট বেশী পেয়ে দ্বিতীয়বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরপর দুবার বিপুল ভোটে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের সেবা করায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং প্রাথমিক শিক্ষাপদক লাভ করেন। এবং ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক লাভ করেন। ২০১৫ সালে সরকারী খরচে জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র ও পর্তুগাল সফর করেন। ১৯৭৬ সাল হতে ১৯৭৮সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ, ১৯৭৯ হতে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৮২ হতে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, তিনি ১৯৯১ সাল হতে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, ২০০১ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য, ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, ১৯৮৫ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, ১৯৮৯ সালে ঢাকাস্থ লালমনিরহাট জেলার ছাত্রকল্যান সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় সমাজ কল্যান মন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সভাপতি উত্তরন ডিগ্রী কলেজ, কাশিরাম একরামিয়া আলীম মাদ্রাসা,বানিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, হাজরানিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ভুল্লারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ঐতিজ্য শিবরাম পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অন্বেশা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, সদস্য করিমপুর এতিমখানা, সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত করিমউদ্দীন সরকারী কলেজ, সাবেক সভাপতি টেপাটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদস্য বালীগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিউিট, সাবেক সভাপতি উত্তর দলগ্রাম আদর্শ স্কুল, বাবুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেক সভাপতি দলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও পঞ্চপতি উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিন ঘনেশ্যাম পুর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং উপদেষ্টা করিমপুর নুরজাহান শামসুন্নাহার শিশু হাসপাতাল, কালীগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থা, করিমউদ্দীন একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, প্রজন্ম কালীগঞ্জ, দাতা সদস্য করিমপুর নেছারিয়া মাদ্রাসা এবং ১৯৯৭ সালে লালমনিরহাট সরকারী কলেজ অনার্স কোর্স বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। তিনি প্রোপাইটার মেসার্স নুরজাহন এগ্রো, মেসার্স মীম চাল কল, মেসার্স সাজিদ চাল কল, ডিলার ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি: বিকাশ বাংলাদেশ লি: চেয়ারম্যান নুরজাহান লাইভ স্টক এবং সদ¯্য চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইনডাস্ট্রি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজপধে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগী এ নেতা স্বপরিবারে আওয়ামী রাজনীতিতে নিজেকে উতসর্গ করেছেন। তার সহধর্মিনী সাজেদা বেগম দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভানেত্রী হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি কে ইউ পি উচ্চ বিদ্যালয় কালীগঞ্জ এর সহকারী শিক্ষিকা এবং প্র্রোপাইটার মেসার্স সাজিদ এগ্রো, মেসার্স নুরজাহান চাল কল, মেসার্স সাজেদা এগ্রো এবং নুরজাহান লাইভ স্টক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাদের প্রথম পুত্র সাকিব মাহবুব সম্মলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ সাধারন সম্পাদক। ২০১৮ সালে ৩০ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটি কর্তৃক সমন্বয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন সাকিব মাহবুব, তিনি ঢাকাস্থ্য লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি। ঢাকা নর্থ সাউথ ইউনিভারসিটি থেকে আইন বিষয়ে ¯œাতক পাশ করে লন্ডনে ব্যারিস্টারী পড়ছেন সাকিব মাহবুব। দ্বিতীয় পুত্র সাজিদ মাহবুব জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১৯-২০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রলীগ স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ২০১৪ সালে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক, ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টুডেন্ট কেবিনেট ভোটে নির্বাচিত সভাপতি এবং প্রজন্ম কালীগঞ্জ এর সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে পরিবারসহ আওয়ামী রাজনীতেিত নিজের জীবন উতসর্গ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষকে সামনে রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে এলাকার উন্নয়ন ও জন সেবা করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসা মাহবুবুজ্জান আহমেদ কে আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করে আধুনিক ও মডেল উপজেলা দেখতে চায় উপজেলাবাসী। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান বলেন, আমি বঙ্গ বন্ধুর আদর্শকে সামনে নিয়ে মাননীয় প্রধানমনত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার সপ্নকে লালন করে ব্যাক্তি সার্থেও উদ্ধে থেকে সততা ও নিশ্ঠার সাথে জনগনের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করে আসছি। সুযোগ পেলে আমি উপজেলাকে আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় ভুমিকা পালন করব।