গাঁজা রাখার দায়ে বরগুনা জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম মোল্লাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে। সোমবার বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মোঃ নাহিদ হাসান এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী দক্ষিণ বরগুনার ফরমান আলী সড়কের বাসিন্দা। তিনি বরগুনা জেলা শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি হলেও নিজেকে জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক দাবি করে আসছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হালিম মোল্লাকে ২০ গ্রাম গাঁজাসহ বরগুনা থানা পুলিশ নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার উপর থেকে গ্রেফতার করে। মামলাটি তদন্ত করে হালিম মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে বরগুনা থানা পুলিশ অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বরগুনা জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা বলেন, মাদক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত জেলা শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি হালিম মোল্লার সাজা হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। যার কারনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা আরও বলেন, হালিম মোল্লা গাঁজা সেবন ও গাঁজা নিয়ে গ্রেফতারের পর বরগুনা শ্রমিকলীগ সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহণ করে। এ কারনে তিনি অবৈধভাবে নিজেকে জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক দাবী করে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে থাকে। তার মাধ্যমে অসাংগঠনিক উপায়ে তৈরিকৃত সকল কমিটিও অবৈধ। মাদকের দায় সাজা হওয়ায় বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মোতালেব মৃধা বলেন সাংগঠনিক ভাবে কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে তাকে দলে রাখার সুযোগ নেই। আপিল করে সাজা থেকে মুক্ত হয়ে দলীয় পদের জন্য আবেদন করলে সদস্যপদ পেতে দল তখন বিবেচনা করবে।