করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারের মাঝে গাভী, নগদ অর্থ ও সেলাইমেশিন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত রোববার সকাল ৯টায় রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সংগঠনটির হাতিরঝিল পশ্চিম সাংগঠনিক থানার উদ্যোগে এসব উপকরণ বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জননেতা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর মু. আতাউর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইউছুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক মো. হেমায়েত হোসেন, মহানগরীর উলামা বিভাগের সভাপতি ড.মাওলানা হাবিবুর রহমান। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু তানজিল, মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ জীব ও অনেকগুলো সামাজিক কর্তব্য নির্ধারণ করে সৃষ্টি করেছেন। পরস্পরের সম্মান, মর্যাদা ও সিকিউরিটির জন্য ইসলাম মানুষকে সামাজিকতা, দয়া-মায়া ও ভালোবাসা, হৃদ্যতা এবং সৌহার্দ্যতার অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আমরা যে অর্থ-সম্পদের মালিক দাবি করি, এ অর্থের মালিক আমরা নই, বরং প্রকৃত মালিক আল্লাহ। তিনি বলেন- ‘ওয়াফি আমওয়ালিকুম হাক্কুলিছাইলি ওয়াল মাহরুম’ অর্থ- তোমাদের সম্পদে সাহায্যপ্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।( সূরা-মুদ্দাসির)
আল্লাহ তায়ালা সামাজিক বিধি-বিধানকে গুরুত্ব দিয়ে নামাযের পরেই যাকাতের কথা বলেছেন। তুমি যে সম্পত্তি পছন্দ কর, সে সম্পদ ব্যয় কর তোমার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে গরীব যারা। এছাড়া ফকির, মুসাফির, দুস্থ, অসহায় মানুষদের জন্য ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ইসলাম একদিকে ব্যক্তিগতভাবে দান খয়রাত ও পারস্পরিক সহযোগিতা করতে বলেছেন। আবার রাষ্ট্রকে দায়িত্ব দিয়েছে, সচ্ছলদের কাছ থেকে যাকাত আদায় করে অসচ্ছলদের ঘরে পৌঁছিয়ে দিতে।
তিনি বলেন, মানুষের তৈরি মতবাদ, অসৎ ও অযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে জাতির ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। আমাদের মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত সমাজ। সৎ যোগ্য আদর্শ মানুষের নেতৃত্বে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে নামতে হবে। জামায়াত সামর্থ্যরে আলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি আমরা সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান জানাই; ‘আসুন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির প্রচলন করি। যাকাত আদায় ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হই।’ সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে।
কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের মন থেকে সরানো যাবে না উল্লেখ করে মহানগরী আমীর বলেন, ‘জনগণকে আমরা আহ্বান জানাই আসুন, অনেক দেখেছি আমরা এবার জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি। আগামী ৫০ বছর হবে একটি আদর্শের ভিত্তিতে সৎ ও যোগ্যদের নেতৃত্বে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্য দূর করার লড়াই। এজন্য আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।