শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

টঙ্গীবাড়ীতে রাত ৯টার পর অসহায় হয়ে পরে ৪ ইউনিয়নের মানুষ

হুমায়ুন কবির মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী লৌহজং ও সিরাজদিখান থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ১৫ কিলোমিটার বিস্তৃত তালতলা গৌরগঞ্জ খাল। খালটি ব্যবহার করে এই তিন উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষ তাদেও প্রাত্যহিক কাজকর্ম করছেন। আর এই খাল পার হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে খেয়া নৌকা। জানা গেছে, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষ তাদের পারাপারের ক্ষেত্রে গৌরগঞ্জ খালটি ব্যবহার করছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাটে পারাপারের জন্য থাকে খেয়া নৌকা। ৯টার পাই অসহায় হয়ে পরে। এই সময়ের আগে অথবা পরে যদি কেউ পারাপার হতে চায় তবে তাদের সাঁতার কেটে পারাপার হতে হয়। দেখা গেছে, পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়া এই খালটি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সঙ্গে লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সুবচনী বাজার থেকে খালের ওপারে লৌহজং উপজেলার ঘাসভোগ ঘাটে এবং সিরাজদিখান উপজেলার তেলিপাড়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে ব্যবহার হচ্ছে মাত্র দুটি নৌকা। প্রতিদিন ওই নৌকা দুটি দিয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নসহ পাশের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন, মালখানগর ইউনিয়ন, লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক যাতায়াত করছে। ওই এলাকার শিপন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি লৌহজংয়ে। কিন্তু আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টঙ্গীবাড়ী থানায়। প্রতিদিন এই খাল পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ঘাটে খেয়া নৌকা থাকে। তাই ৯টার মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে হয়। জরুরি কোনো প্রয়োজনে রাত ৯টার পরে বাড়ি ফিরতে হলে তখন আর নৌকা পাওয়া যায় না। সাঁতরিয়ে খাল পার হতে হয়। ছোটবেলা থেকেই এই অবস্থা দেখছি। একটা ব্রিজ হলে ভালো হতো। ওসমান গনি বলেন, গভীর রাতে নৌকা থাকে না। ঘাটে নৌকা না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে সময়মতো ডাক্তার আনা যায় না। রোগীদেরও খেয়ার কারণে ডাক্তারের কাছে নেওয়া যায় না। অনেক সময় রোগীদের ডাক্তারের কাছে না নিতে পারায় মারাও যায়। মাদরাসাছাত্র বায়োজিদ বলেন, আমার বাড়ী টঙ্গীবাড়িতে। আমি প্রতিদিন ৩-৪ বার খেয়া পার হয়ে মাদ্রসায় যাই। যখন খালে অনেক ঢেউ থাকে তখন অনেক ভয় করে। টঙ্গীবাড়ী-লৌহজং ঘাটের মাঝি দুলাল বলেন, এই ঘাটে আমরা দুজন মাঝি সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নৌকা চালাই। বিনিময়ে আমাদের মাদরাসা থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেয়। আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারী বলেন, ঘাট দিয়ে পারাপার হতে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমি নিজেও জরুরি প্রয়াজনে মাঝে মধ্যে এই ঘাট দিয়ে নৌকায় পার হই। এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হতো। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com