সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

সাধুর পরামর্শে নিয়োগ ও পদোন্নতি: চিত্রা রামকৃষ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অনিয়মের মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। স¤প্রতি এই মামলায় ১৯০ পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। তাতেই জানা গেছে, উচ্চপদস্থ কর্তার নিয়োগ থেকে পদোন্নতি, সবটাই হিমালয়ের এক সাধুর কথা মেনে করেছিলেন চিত্রা। ইতোমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে চিত্রাকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এনএসইয়ের গ্রুপ অপারেটিং অফিসার এবং এমডি-র উপদেষ্টার পদে চিত্রা রামকৃষ্ণ নিয়োগ করেছিলেন আনন্দ সুব্রহ্মণ্যনকে। দ্রুত তার পদন্নতিও হয়। বিরাট পদে সুব্রহ্মণ্যনকে নিয়োগ করা হলেও তার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না বলেই জানা গেছে। এর আগে বামার লরিতে বছরে ১৫ লাখ টাকারও কম বেতন পেতেন সুব্রহ্মণ্যন। চিত্রার দাক্ষিণ্যে রাতারাতি তার বেতন হয় বছরে ১.৬৮ কোটি টাকা। পরে যা বেড়ে দাড়ায় বছরে ৪.২১ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বড় কথা, চিত্রা দাবি করেছেন, এই সবটাই তিনি করেছিলেন হিমালয়ের এক সাধু ‘শিরোমণি’র পরামর্শ মেনে। সেবিকে চিত্রা আরো জানিয়েছেন, ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের আর্থিক ও ব্যবসার গোপন তথ্যও নিয়ে সাধুর সাথে আলোচনা করতেন। এমনকী কর্মীদের কাজের মূল্যায়নও করতেন ‘শিরোমণি’র সাথে কথা বলেই। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএসইয়ের এমডি-সিইও ছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণ। তার আমলে ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এর পরেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সেবি। স¤প্রতি সেই রিপোর্টই প্রকাশ করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। জানা গেছে, গত ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ও কাজের বিষয়ে হিমালয়ের ওই সাধুর পরামর্শ মেনেই সব করতেন চিত্রা রামকৃষ্ণ।
চিত্রা দাবি করেছেন, শিরোমণির আবাসস্থল হিমালয় হলেও তার নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান নেই। চাইলেই সবখানেই প্রকট হতে পারেন বাবাজি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com