শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাবে জেব্রার মৃত্যু, দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ২৭ দিনের ব্যবধানে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী ও বিভাগীয় মামলার দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হবে। এছাড়াও, তদন্ত কমিটির সুপারিশকৃত ২৪টি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। গত রোববার নির্ধারিত দিনেই তদন্ত কমিটি তাদের ১৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে নানা পরামর্শ হিসেবে আরো পাতা যুক্ত করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর এসব তথ্য জানিয়েছেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) কেয়া খান এবং উপসচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটি প্রদত্ত মন্তব্য/মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে (Hazardous effects of Nitrate associated with mixed bacterial infections) সকল জেব্রার মৃত্যু ঘটেছে মর্মে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে, প্রথম দিকের তিনটি জেব্রার (০২-০১-২০২২ ও ০৩-০১-২০২২) মৃত্যু ধামাচাপা দেয়া এবং আঘাতজনিত কারণ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে উক্ত মৃত তিনটি জেব্রার পেট ধারালো কিছু দ্বারা কাটা হয়েছে মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। কে বা কারা উক্ত মৃত তিনটি জেব্রার পেট কেটেছে তা উদঘাটন করার জন্য নিবিড় তদন্তের প্রয়োজন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কর্তব্যরত ভেটেরিনারি অফিসারের চাহিদা মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাফারি পার্ক মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহবান করবেন মর্মে বিধান থাকা সত্ত্বেও এতগুলো জেব্রার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও জরুরিভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার শামিল। কোনো প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করার প্রচলন থাকলেও এক্ষেত্রে থানায় কোনো জিডি করা হয়নি, যা রহস্যজনক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। উক্ত তারিখ পর্যন্ত ৮টি জেব্রা মারা গেলেও প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা কর্মরত অন্য কেউ জেব্রার মৃত্যুর ঘটনাটি সচিবকে অবহিত করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় প্রথম থেকেই জেব্রা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য ও সরকারি কর্মচারী আচরণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যা দায়িত্ব অবহেলার শামিল। তদন্ত কমিটির এসকল মতামত বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিতপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফৌজদারী মামলা ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের প্রাণী মৃত্যুরোধ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশকৃত ১১টি স্বল্পমেয়াদী, চারটি মধ্য-মেয়াদী এবং নয়টি দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।
তদন্ত কমিটির স্বল্পমেয়াদি সুপারিশ গুলো হচ্ছে, সাফারি পার্কের বিভিন্ন প্রাণী/পাখির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অধিকতর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল দ্রুত পদায়ন করা, সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণীর নিয়মিত “Disease Surveillance and Monitoring” এবং বর্তমান ও অতীতের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যুর কারণ, আক্রান্ত রোগ সমূহ ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একজন “Veterinary Epidemiologist” সাফারী পার্কে সংযুক্তি/ পদায়ন করা, নিরাপত্তা কর্মী, এনিমেল স্কাউট/এটেন্ডেন্ট সহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী/ সংযুক্তি/পদায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের স্থায়ীভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য রাজস্বখাতে সৃজিত ১৩৮ পদের বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা, প্রাণী খাদ্যের সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ, বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত ও স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে পার্কে ভেটেরিনারি অফিসারকে প্রধান করে পদায়নকৃত ১ম শ্রেণী/২য় শ্রেণীর কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪/৫ সদস্যের একটি শক্তিশালী প্রাণী খাদ্য গ্রহণ কমিটি গঠন করা। প্রাণী ও পাখির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১০ দফা নির্দেশনা, (ক) প্রাণী সেড ও বিশ্রামাগার (খ) খাবার পানি শোধন (গ) কৃমিমুক্তকরণ (ঘ) নিয়মিত টিকা প্রদান (ঙ) পরিণত ও স্বাস্থ্যসম্মত ঘাস গ্রহণ। ঘাস গ্রহণের পর পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে চপার মেশিনে কেটে সরবরাহ করা। (চ) দানাদার খাদ্য ও সরবরাহকৃত মাংসের গুনগত মান যাচাইপূর্বক গ্রহণ (ছ) জেব্রার জন্য পৃথক বেষ্টনী নির্মাাণ (জ) সরবরাহকৃত শাকসবজি, ফলমুল ও ঘাস ধৌত করার চৌবাচ্চা নির্মাণ (ঝ) নাইটভিশন সুযোগসমৃদ্ধ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।(ঞ) মুক্ত স্থানে ঘাস চাষ করা। সাফারি পার্কের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রক্ষার জন্য ডিজিটাল ডিভাইসে সকলকে সংযোগ করা। পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সমস্ত স্টাফদের নিয়ে প্রতিমাসে একবার সভা আহবান করা ও সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও তাৎক্ষণিক সমাধান করা। অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান বন সংরক্ষককে লিখিতভাবে অবহিত করা। সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন। উক্ত কমিটি প্রতি দুই মাস পর পর সভা করে সাফারি পার্কের কার্যক্রম তদারকি করবে। এবং সাফারি পার্কে ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতরে কর্মরত অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারিয়ানদের সমন্বয়ে একটি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল বোর্ড পূনঃগঠন করা (নিম্নবর্ণিত সদস্যদের মধ্যে)ঃ ক. পরিচালক, কেন্দ্রী প্রাণী হাসপাতাল, ৪৮ কাজী আলাউদ্দিন রোড, ঢাকা। খ. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ হতে ভেটেরিনারি প্যাথলজি/মেডিসিন/ভেটেরিনারি সার্জারি বিভাগের ১ (এক) জন প্রতিনিধি। গ. সি.ডি.আই.এল থেকে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। ঘ. জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, গাজীপুর। ঙ. বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত ভেটেরিনারি অফিসার। চ. সাফারী পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার।
তদন্ত কমিটির মধ্য-মেয়াদি সুপারিশ গুলো হচ্ছে, জরুরি প্রাণী-পাখির স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে Wildlife Veterinary Hospital এ প্রয়োজনীয় ভেটেরিনারি ঔষধ ও যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত মজুদ রাখা সহ হাসপাতালের অন্যান্য সুযোগ বৃদ্ধি করা। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় Diagnostic kits, Reagents সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি (Blood analyser, compound microscope, HPLC ইত্যাদি) সংস্থান রেখে একটি Veterinary Mini Laboratory স্থাপন করা। জরুরী প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ বা কমিটি প্রয়োজন মনে করলে দেশের অভ্যন্তর থেকে আরো Veterinary Expert and Wildlife Biologist সম্পৃক্ত করতে পারবেন; এমনকি প্রয়োজনে বিদেশ থেকে (সাউথ আফ্রিকা বা অন্যান্য দেশ) Expert আনার ব্যবস্থা রাখা। সাফারী পার্কের মৃত প্রাণীর যথাযথ Anti mortem and post mortem examination আরও বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা। এছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশ গুলো হচ্ছে, সাফারী পার্কের অভ্যন্তরে রোগাক্রান্ত পশুকে চিকিৎসার স্বার্থে ভেটেরিনারী হাসপাতালে বা অন্যত্র (ঢাকা বা অন্য স্থানে) স্থানান্তরের জন্য একটি মোবাইল ভেটেরিনারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা রাখা। দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সকল কমকর্তা (Veterinary Officer / Surgeon, Wildlife Biologist, Scientific Officer etc.) দের প্রাণী চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। প্রাণীস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ব্যবস্থাপনার উপর সমসাময়িক সময়ে জ্ঞান আহরণের জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল রেফারেন্স বই (ভেটেরিনারি মেডিসিন, সার্জারি, প্যাথলজী, মাক্রোবাইয়লজী, প্যারাসাইটোলজী ইত্যাদি) সহ দেশি বিদেশি জার্নাল সংগ্রহের মাধ্যমে একটি মিনি লাইব্রেরীর ব্যবস্থা রাখা। প্রাণীর স্বাস্থ্য তদারকি ও ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের জন্য ভেটেরিনারি মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যগণের প্রতি দুই মাস অন্তর বোর্ড মিটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা। প্রতিটি বোর্ড মিটিং এ প্রকল্প পরিচালক ও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত থাকা। জরুরিভিত্তিতে আকাশমনিসহ অপ্রয়োজনীয় বৃক্ষ অপসারণ করে বন্যপ্রাণী সহায়ক পুন:বাগান সৃজন, বন্যপ্রাণীর খাদ্যোপোযোগী বিভিন্ন প্রজাতির ফলবাগান সৃজন। বেষ্টনী উন্নয়নের মাধ্যমে শিয়ালসহ বহিরাগত প্রাণীর প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। পার্কের অভ্যন্তরে যত্রতত্র গো-চারণ ও মানুষের যাতায়ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাফারি পার্ক চত্তরে ২৪ ঘণ্টা অবস্থানের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা রাখা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা। উল্লেখ্য, গাজীপুরে শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ দিনের ব্যবধানে এ পার্কের ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহী মারা যায়। পার্ক প্রতিষ্ঠার পর চলতি বছরই সবচেয়ে বেশি প্রাণীর মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। জেব্রা ও বাঘের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং দায়িত্বে অবহেলাকারীদের সনাক্তকরণের লক্ষ্যে গত ২৬ জানুয়ারি গঠন করা হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। পাঁচ সদস্যের এ কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক এবং এবং পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীকে সদস্য-সচিব করা হয়। তদন্ত কমিটিকে কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আরো ১০ দিন সময় বাড়ানো হয়। কমিটিতে আরো তিন কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন ভবন, ঢাকার বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় রোগ নির্ণয় ল্যাবে (সিডিআইএল) কর্মরত মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আজম চৌধুরী, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি ল্যাব প্রধান অধ্যাপক মো. নুর আলী হাদী খান এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) অঞ্জন কুমার সরকার। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটিকে কাজে সহায়তা এবং পার্কের পশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউল আহাদ সরকার, ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদাসহ তিনজন বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাকে যুক্ত করা হয়। তবে তারা ওই তদন্ত কমিটির সদস্য নন। তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সরিয়ে নেয়া হয় পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান, ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ হাতেম সাজ্জাদ মোঃ জুলকারনাইন এবং বন্যপ্রাণী সুপারভাইজার সারোয়ার হোসেনসহ চারজনকে। তদন্ত কমিটিকে জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন, জেব্রাগুলোর মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সমূহ নিয়ে নির্ধারিত মোট ২০ কার্যদিবসের যথাসময়ে প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com