দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানকে তিন বছরের এবং দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনামুল বাছিরকে দ-বিধি আইনের ১৬১ ধারায় ৩ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনে ধারায় ৫ বছর মোট ৮ বছর কারাদ- দেওয়া হয়েছে। দুইটি ধারায় শাস্তি একসঙ্গে চলবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। ফলে বাছিরকে ৫ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। এ দিন সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন আসামি মিজান ও বাছির। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রায় শুনতে মিজান ও বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। তার আগে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেছিলেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। প্রসঙ্গত, ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর খন্দকার এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।