সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

রাশিয়ার নৃশংস সামরিক হামলার ফলে রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন মহাসড়কে জ্যাম লেগে গেছে ভোর থেকেই। যে যেভাবে পারছেন, সাজানো সংসার, ঘরবাড়ি পিছনে রেখে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। অনলাইন বিবিসি বলছে, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউক্রেনে সামরিক হামলার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে প্রথম গোলা নিক্ষেপ হয়। একে একে উড়ে যেতে থাকে ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী কিয়েভে ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজানো হয়। গোলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারদিক কেঁপে ওঠে।
ঘুম থেকে জেগে দিশেহারা হয়ে পড়েন অধিবাসীরা। হামলা হয়েছে, এটা বুঝতে পেরে যার সঙ্গে যা সম্ভব নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। ফলে এক্সপ্রেসওয়ে বা মহাসড়কগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ জ্যাম দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে জনগণের আতঙ্কের কথা ফুটে উঠেছে। অনেকে বলছেন, হামলা হওয়ার ফলে বোমা বিষয়ক আশ্রয়কেন্দ্রে এবং বেসমেন্টে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে প্রার্থনা করছেন। তারা দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। কিয়েভে অবস্থানরত গার্ডিয়ানের সাংবাদিক লুক হার্ডিং টুইটারে জানাচ্ছেন, রাস্তায় খুব কম মানুষ দেখা যাচ্ছে। বেশি মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে ক্যাশমেশিনে। সেখান থেকে অর্থ তুলতে তারা ব্যস্ত।
ইউক্রেনে তিন দিক থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া: প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল মাস খানেক আগেই। সামরিক মহড়ার নাম করে বেলারুশে রাশিয়ান সেনার প্রবেশের পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা বিশ্ব। গত করেক দিনে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ ফৌজের গতিবিধি বলছে, পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হলে দ্রুত ‘তৃতীয় ফ্রন্টলাইন’ খুলে অসুবিধা হবে না ভ্লাদিমির পুতিনের। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ইউক্রেনের মতোই স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হয়েছিল বেলারুশ। কিন্তু গোড়া থেকেই সেখানকার সরকার মস্কো-ঘনিষ্ঠ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সীমান্তে সক্রিয় হয়েছে রুশ বাহিনী। সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুগানস্কে অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যেই সেখানে রুশ সেনার অনুপ্রবেশেরও খবর মিলেছে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ। মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিও সেখানে সক্রিয়। তাদের সাহায্যে এই এই অঞ্চল থেকেই রুশ সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান শুরু করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস থেকে কিয়েভে অভিযান চালানোর পথে পুতিনের বাহিনী ‘ইউক্রেনের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত খারকিভের দখল নেবে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো-র। ইতোমধ্যেই কিয়েভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্স্কির নেতৃত্বাধীন সরকারের মনোবল ভাঙাই এর উদ্দেশ্য।
রুশ বাহিনীর তৃতীয় আক্রমণের কেন্দ্র হতে পারে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ। সেখানে কৃষ্ণসাগরে ইতোমধ্যেই মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্যক রুশ রণতরী। ডুবোজাহাজ, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেটের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল্’-ও। ন্যাটো-র সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত ইউক্রেনের মূল ভূখ-ে সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। ক্রাইমিয়ার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি রুশ। তাদের নিয়ে গঠিত প্রায় ২৫ হাজার যোদ্ধার বাহিনীও রয়েছে সেখানে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যা পুতিনের সহায় হতে পারে। তা ছাড়া ক্রাইমিয়ার অন্তর্গত সেবাস্তিপোল রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এক মাত্র ‘উষ্ণ পানির বন্দর’। বছরভর ব্যবহারযোগ্য এই বন্দর থেকে রুশ নৌবাহিনী সহজেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তবে এই মুহূর্তে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ রয়েছে মূল ইউক্রেন ভূখ-ের (ডনবাস সীমান্ত ব্যতীত) সীমান্তে। লক্ষাধিক সেনার পাশাপাশি কামান, ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অন্তত এক ডজন বিমানঘাঁটিতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিগ-৩৫, সুখোই-৩৫ স্কোয়াড্রনগুলি। ম্যাক্সারের সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্র দেখিয়েছে, দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের উদ্দেশ্যে রুশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা এমআই-২৬-সহ ভারী হেলিকপ্টারগুলিও রয়েছে সেখানে।
পুতিনের ‘যুদ্ধ-ঘোষণার’ পরে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করলেও সেখানে সেনা পাঠানোর বিষয়ে এখনও চুপ ন্যাটো। এই পরিস্থিতিতে বহিরাগত বাহিনীর প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া রুশ হামলা ঠেকানো ইউক্রেনের পক্ষে কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।
রাশিয়ার ছয় বিমান ও হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত: ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, বৃহস্পতিবার সকালে তারা পাঁচটি রাশিয়ান বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়ে বলা হয়- দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জনগণকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেছে: “আপনারা ইউক্রেনের রক্ষকদের ওপর বিশ্বাস রাখুন।” তবে রুশ নিউজ এজেন্সী তাস জানিয়েছে- রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেন কর্তৃক তাদের বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপ: রাশিয়ার সামরিক হামলার ত্বরিত নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান দেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন এসব দেশের নেতারা। জার্মান সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ ফোনে কথা বলেছেন জেলেনস্কির সঙ্গে।
দেশটির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউরোপে স্থলযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম এই বিষয়টি শুধু ইতিহাসের বইয়েই থাকবে। কিন্তু এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভয়াবহভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিনা উস্কানিতে এই হামলায় আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন এবং সুচিন্তিত জবাব দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। হামলাকে অন্যায় এবং অনুপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।
তিনি বলেছেন, অবিলম্বে এর জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সিদ্ধান্ত ঠিক করতে ইউরোপিয়ান এবং ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পাইওত্র মুলার বলেছেন, এখনই পূর্বমুখে ন্যাটো বাহিনী সম্প্রসারণ করার সময়। আশা করি এমনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘও।
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি: রাশিয়ার ভয়াবহ হামলার পর সমগ্র ইউক্রেনজুড়ে সামরিক আইন জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ।
সমগ্র ইউক্রেনজুড়ে সামরিক আইন জারি করার বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করা হচ্ছে। জেলেনস্কি আরো বলেন, আজ সকালে রাশিয়া আমাদের রাষ্ট্রের (ইউক্রেন) ওপর নতুন করে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে। এ সামরিক আগ্রাসন সম্পূর্ণ অবৈধ। এ হামলার ক্ষেত্রে শঠতা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে রাশিয়া। তিনি আরো বলেন, রাশিয়া আমাদের সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী সেনারা রুশ হামলার শিকার হয়েছে। ডনবাস এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, সকল বিশেষ বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদ এখন জরুরি অবস্থার মধ্যে কাজ করছে। ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি হতে যাচ্ছে। এখন ইউক্রেনের জনসাধারণের উচিৎ ঘরে থাকা।
পাল্টাপাল্টি হামলায় ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রায় ১০০ সৈন্য নিহত: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সর্বশেষ পাঁচ তথ্য: ইউক্রেন বলছে, তাদের সৈন্য রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্যকে হত্যা করেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভ এই দাবি করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একেবারে নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে আরও একটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, শচস্ত্য শহর এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাশিয়ার ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছে। ক্রামতোর্স্ক জেলায় রাশিয়ার আরেকটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এটি নিয়ে ছয়টি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টন জেরাশেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভ, খারকভ এবং নিপারের কাছে সামরিক সদর দপ্তর, বিমানবন্দর, সামরিক অস্ত্রাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিছিন্ন ইউক্রেনের: রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ শুরুর পর বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি। এছাড়া ইউক্রেনকে রক্ষায় ইচ্ছুক কারো ওপর পূর্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকলে এখন তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ হামলা নাৎসি আক্রমণের মতোই। ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জনগণের মাঝে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ইউক্রেনের এই নেতা দেশটির গণমাধ্যমকে তথ্য সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনী কতটা দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তা তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শত্রুরা গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এই ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের সরকার ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইচ্ছুক প্রত্যেকের কাছে ‘ইতোমধ্যে অস্ত্র বিতরণ শুরু’ করছে।
পুরো ইউক্রেন দখলের ইচ্ছা নেই: সদ্য স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গণপ্রজাতন্ত্রী দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে কিয়েভের আগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া ইউক্রেন দখলে নেওয়ার রাশিয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, সামরিক অভিযানের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো— গত আট বছর ধরে কিয়েভ শাসকদের গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া লোকজনকে রক্ষা করা। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ এবং নাৎসিবাদমুক্ত করবে মস্কো। এছাড়া যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বহুমুখী নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের পুরো ভূখ- দখলে নেওয়ার কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই মস্কোর। রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের ভূখ-গুলো দখলের পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা কারও ওপর জোর করে কোনো কিছু আরোপ করতে যাচ্ছি না। কিয়েভের সৈন্যরা এখনও রাশিয়ার স্বাধীন ঘোষণা করা দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর তা বন্ধ করতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্টকে ‘মানবতার দোহাই’ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে নিজ মেয়াদের সবচেয়ে ‘দুঃখজনক ঘটনা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। ওই দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ছিল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আন্তোনিও গুতেরেস।
বৈঠক শেষে জাতিসংঘ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের উদ্দেশে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে আমার মেয়াদে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনাটি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটতে যাচ্ছে।’ ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্দেশে হৃদয়ের গভীর থেকে বলতে চাই— প্রেসিডেন্ট পুতিন, আপনাকে মানবতার দোহাই, যুদ্ধ বন্ধ করুন, ইউক্রেন থেকে আপনার সৈন্যবহর ফিরিয়ে নিন এবং সেখানে শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্বশীল হোন। ইতোমধ্যে গত কয়েক বছরে ওই অঞ্চলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’ যুদ্ধ ইউক্রেইনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর পরিণতি সুদূরপ্রসারী হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
২৪
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
(বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি একেবারে শিশু-কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা এই এসব প্রকাশনাগুলো পড়লে জাতির পিতা সম্পর্কে যেমন জানতে পারবে, তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সম্পর্কে ইতিহাসকে জানতে পারবে।’ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর লেখা ১১টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন শহর ভিত্তিক নয়, একেবারে তৃণমূল থেকেই আমরা উন্নয়ন করে আসছি। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজনের ফলে মানুষ যেমন ইতিহাসকে জানতে পারবে, সত্যকে জানতে পারবে, আর এর ভেতর থেকে নিজেরা নিজেদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি যে একটা দায়িত্ব আছে সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে যতই জানতে পারবে ততই তারা তা উপলদ্ধি করতে পারবে। কেননা, একটা মানুষ তাঁর জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন, বাংলাদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের জন্য।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থা তা ১৩/১৪ বছর আগেও এমন ছিলনা, এটা হলো বাস্তবতা। কিন্তু আমরা সে পরিবর্তন আনতে পেরেছি, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রকাশনা উৎসবের পাশাপাশি একই অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চুড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ করেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইসস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। ১১টি বইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর’ বইটির সম্পাদনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্বাচিত ১৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী ১শ’ জনের মাঝে নির্বাচিত ১০ জনকে অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মুজিববর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বিত উদ্যেগে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ¯œœাতক পর্যায়ের সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, ভৌত বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি, বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, শিক্ষা ও উন্নয়ন, চিকিৎসা, চারু-কারু, কৃষি বিজ্ঞান এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিক্ষেত্রের প্রত্যেক অধিক্ষেত্র হতে একজন করে মেধাবী শিক্ষার্থীকে সুনির্দিষ্ট মানদ-ের ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের প্রত্যেককে বৃত্তি হিসেবে এককালীন তিন লক্ষ টাকার চেক, সনদ এবং ১টি সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জাতির পিতার জীবন ও কর্ম সর্ম্পকে তরুণ প্রজন্মকে জানানোর উদ্দেশে ১শ’ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর হতে ২০২১ সালের ১০ই মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে আয়োজিত এই কুইজ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেন ১৫ লাখ ৭৬ হাজার প্রতিযোগী। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তি পুরস্কৃত হয়েছেন। আর চুড়ান্ত বিজয়ী ১০ জনের হাতে ল্যাপটপ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা সার্টিফিকেট তুলে দেন স্পিকার। বাকীদের পুরস্কার যার যার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়ার কখাও অনুষ্ঠানে জানান আয়োজক কমিটি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এবং আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদ উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম।
সাহিত্য অনুষ্ঠান উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্য অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিম সংগ ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, হৃদয়ের বাতিঘর’ পরিবেশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে নিয়ে এত গান, কবিতা এত রচনা হয়েছে যে,আমি জানিনা পৃথিবীতে এমন আর কোন নেতা আছে কিনা যাঁদের নিয়ে এত রচনা হয়েছে। এই রচনাগুলো লোক সাহিত্য থেকে শুরু করে বিজ্ঞান বিষয়ক সর্বক্ষেত্রেই বিস্তৃত। জাতির পিতা অবদানকে মানুষ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল গ্রহণ করলেই হবেনা। আমি চাই নতুন প্রজন্ম সেই আদর্শে আদর্শবান হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকে নতুন প্রজন্ম ২০৪১ সালের সৈনিক হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে ধাপে ধাপে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে। আর সেটা করা খুব কঠিন কাজ নয়, ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারবো।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। সেই সোনার মানুষ এখন তৈরি হচ্ছে। সেটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা।
তিনি অনুষ্ঠান আয়োজক-প্রকাশকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই ধারা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে মানুষ সঠিক ইতিহাস জানার মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটা অবশ্যই সফল হবে বলে আমি বিশ^াস করি।
এ সময় তিনি ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারস’ বৃত্তি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অব্যাহত রাখার আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, জাতির পিতা বলতেন ‘শিক্ষায় অর্থ ব্যয় হচ্ছে বিনিয়োগ’। দেশের ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়া শিখিয়ে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে পারলে তারা দেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হয় এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে এবং আমি অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি ২০০৮ এ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর ২০২২ সালের এই সময়ে আমরা বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন দারিদ্রের হার আমরা কমাতে পেরেছি তেমনি স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি। পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা দিতে পেরেছি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর যেমন গুরুত্ব দিয়েছিলাম সেখানেও আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এবং জানার মাধ্যমে সমগ্র বিশ^ এখন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। বরং বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়েরাও বিশে^র কাছে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারছে, তাদের জ্ঞান আরো উদ্ভাসিত হচ্ছে। প্রযুক্তির সেটাই সবথেকে বড় অবদান।
আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি সেটা ধরে রেখে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা তাঁর সারাজীবন জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন, শহীদরা রক্ত দিয়ে গেছেন। এই আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারেনা।
তিনি বলেন, তাঁদের এই মহান ত্যাগের একটাই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। শিক্ষায় জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হবে এবং সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com