চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ বিজয় এবং সিএফসির মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গত বুধবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে চালানো অভিযানে রামদা, কিরিচ, গুলতি, কাচের বোতল ও রডসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শহীদ আব্দুর রব হলের ঝুপড়িতে বিজয় গ্রুপের একজন কর্মীর গায়ে হাত তোলা নিয়ে উত্তেজনার শুরু। সেই ঘটনার জের ধরে সোহরাওয়ার্দী এবং শাহ আমানত হলে দুই গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নেন। বিজয় ও সিএফসি উভয় গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে বর্তমান সভাপতি রেজাউল হক রুবেল পদ নিয়ে বসে আছে। সভাপতি হয়ে সে যত অপকর্মে লিপ্ত আছে সব আমাদের জানা আছে। অথচ পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে আন্দোলন করলেও নানা টালবাহানা শুরু করে। ইদানিং সে এবং তার ছেলেরা কমিটি না দিতেই এসব উস্কানি দিচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেলের সঙ্গে ফোন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, দুই গ্রুপের উত্তেজনা বন্ধ করতে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা হল দুটিতে তল্লাশি চালাই। তল্লাশিতে পুলিশ আমাদের সহায়তা করেছে। এ সময় আমরা দুই হল থেকে রামদা, কিরিচ, গুলতি, কাচের বোতল ও রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এর আগে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের র্যাগ ডে উদযাপনে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।