বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

শ্রমিকের পারিশ্রমিকের থেকেও মাংসের দাম বেশি

রাফছানজানী শুভ ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

তেল, চাল-ডালসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরু-খাসি-মুরগির মাংসের দাম। গরুর মাংস আগে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। খাসির মাংসও সাধারণ মানুষের নাগালেই বাইরে, প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা ঘোড়াঘাট বাস টার্মিনালের চারমাথা মোরে মাংসের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের দাবি,আয়ের তুলনায় মাংস আর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন,কম দামে কিনতে না পারায় বিক্রিও করা যায় না। শহিদুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক তার পরিবারের সদস্য তিনজন,দৈনিক আয় করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এটাকার মধ্যে তাদের খাওয়া-পরা এবং তার মেয়ের পড়ালেখার চালানোয় কষ্টকর হয়ে যায়। মাংস কিনা কথা মাথায় আনেন না তিনি। আনিছুর রহমান পেশায় রাজ মিস্ত্রি তার দৈনিক পারিশ্রমিক ৪০০-৪৫০ টাকা। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, মাংস ৩ মাসেও একবা কিনা হয় না। কাজ করে টাকা পাই ৪৫০ টাকা এটা দিয়ে পরিবারের খরচ করবো নাকি মাংস কিনবো। আমার পারিশ্রমিকের থেকে মাংসের দাম বেশি। অন্য দিকে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, গরুর মাংস ব্যবসায়ী বোরহান মিয়া জানান, গরুর বাজারের অবস্থা অনেক ছড়া। গরুর তুলনায় গরুর দাম অনেক বেশি। আমাদের বেশি দামে গরু ক্রয় করতে হচ্ছে এবং বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে ৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের আসল টাকা তোলা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। দোকানের শ্রমিকদের টাকাও ঠিক ভাবে প্রদান করা যায় না। তিনি আরও বলেন, গোখাদ্যের দাম অথবা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বর্তমানে গরু আমদানি করা হতো তাহলে হয়তো গরু এবং মাংসের দাম টা কমে আসত। খাসির মাংস ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ছাগলের দাম অনেক বেশি। আমরা ছাগল কিনতে গিয়ে ছাগল কিনতে পারি না। ছাগলের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছে। কোন কোন দিন একটি খাসির মাংস দুই দিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। মুরগী ব্যবসায়ি জানায়, মুরগির মাংসের দাম অনেক বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা মোটামুটি পর্যায়ে আছে। তবুও ব্যবসা করতে হবে, চলতে হবে। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিযশন ঘোড়াঘাট শাখার সভাপতি শাহ নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর এবং মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গোখাদ্যের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে বেড়ে গেছে গরুর উৎপাদন খরচ। সরকার গোখাদ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ নিলে বাজারের গরুর দাম এবং মাংসের দাম কমে আসবে। তিনি আরো বলেন, গোখাদ্যের দাম আর ১টি বছর এই রকম থাকলে অচিরেই সব খামার বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে যে টাকায় গোমাংস দিতে পারছি রমজান মাস পর হয়তো এটা দেওয়া সম্ভব হবে না। সরকারের কাছে আবেদন এই সেক্টরটিতে নজরদারী এবং খামারীদের সরকারি ভাবে সহযোগিতা করবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com