বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রুহুল আমিন গাজী সাহেবকে একেবারে মিথ্যা মামলায় ১৭ মাস কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। আজকে সংবাদকর্মীরা যেন সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে না পারেন সেজন্য ভয়াবহভাবে সংবাদমাধ্যম নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর সেই নিবর্তনমূলক আইনগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই রুহুল আমিন গাজী সাহেবকে ১৭ মাস কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমি আমাদের সকলের প্রিয় রুহুল আমিন গাজীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি গাজী ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে কারানির্যাতিত বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন প্রণয়ন করতে চাইছে। এই আইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন গণমাধ্যমকর্মীরা সত্য কথা বলতে না পারেন, গণতন্ত্রের কথা বলতে না পারেন। আর যারা গণতন্ত্রের কথা বলবেন, সত্য কথা বলবেন, তাদের যেন গলা চেপে ধরা যায় তা এই আইনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যারা লেজুড়বৃত্তি করে তারা এই আইনের পক্ষে সাফাই গাইছে। কিন্তু এই আইন পাশ হলে দেশে পুরোপুরিভাবে একটা ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চালু হবে। তাই আজকের এই পোগ্রাম থেকে সেই আইন প্রত্যাহার কারার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ সময় তিনি স্বাধীন গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র রক্ষার সার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম মাসুম বলেন, একটানা ১৭ মাস কারানির্যাতনের শিকার হয়ে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। তিনি মূলত একা কারাবরণ করেননি। গত কয়েক বছরে অনেক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, রমজান মাস ন্যায়ের মাস, অন্যায় প্রতিরোধের মাস, এই সমাজের সমস্ত মানুষকে সকল প্রকার অন্যায় থেকে পবিত্র করার মাস। এই রমজান মাস সাধনার মাস। তাই এই রমজানে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, সম্মানজনকভাবে বাংলাদেশকে বাসযোগ্য বসবাসের ব্যবস্থা করার জন্য আমাদেরকে আজকে সংগ্রামের শপথ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম মাসুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, ইলিয়াস খান, নুরুল আমিন রোকন, কাদের গনি চৌধুরী, মো: শহিদুল ইসলাম, শাখওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মোরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসাইন, মোস্তফা কামাল মজুমদার, মুন্সি আবদুল মান্নান, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া।