বিরামপুর উপজেলায় পুরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়ার কাজ চলছে। কাল বৈশাখী ঝড় আসার আগেই মাঠের ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলনও হচ্ছে আশাতীত। মানুষমুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি এবার ৮ বিঘা জমিতে জিরাশাইল জাতের ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য বছর ফলন কম হলেও এবার প্রতি বিঘা (.৩৩ শতক) জমিতে ২৫/২৬ মন হারে ফলন হচ্ছে। শহরের ধান আড়ৎদার হুমায়ুন কবীর জানান, সদ্য কেটে আনা সরু ধান ৯৫০ টাকা এবং মোটা ধান ৭শ’ টাকা মন দরে বেচা-কেনা চলছে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৫ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের আবাদকৃত ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মিনিগেট, জিরাশাইল, ব্রি-২৮,২৯,৫৮,৭৪,৮১,৮৮,৮৯ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইব্রিড জাতের ধান। সীমিত জনবল দিয়েই নিরলস ভাবে পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বোরো ক্ষেতে কোন রোগ বালাই নেই এবং অনুকুল আবহাওয়া থাকলে এবার বিরামপুর উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফসল ঘরে উঠবে। এদিকে কাল বৈশাখী আসার আগেই মাঠের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। একারণে অনেক এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করা হচ্ছে।