লাল টুকটুকে রসালো ফল তরমুজ। সবারই প্রিয় ফল এটি। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। এমনকি দরমুজে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদানটি ক্যানসারের বিরুদ্ধেও কাজ করে।
গ্রীষ্মের দুপুরে এক ফালি ঠান্ডা তরমুজ মুহূর্তেই সব ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খনি কিংবা বাকি অংশ সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। তবে এই পদ্ধতি একদমই ভুল। কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা হতে পারে বিপজ্জনক। এ বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা খাবার বা ফল রাখার সময় না জেনেই কিছু কিছু ভুল করে ফেলি। যার থেকে হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে এ সময় আম, জাম কিংবা লিচুর মতো রসালো ভালো রাখতে ফ্রিজে রেখে বরং সেগুলো নষ্ট করে ফেলি। ফ্রিজে রাখা ফল খেতে তৃপ্তিদায়ক হলেও তা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য রসালো ফলের মতো তরমুজও সবসময় ফ্রিজের বাইরে রাখতে হবে। কারণ তা কম তাপমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকে।
তবে কেন তরমুজ কেটে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, কাটা অবস্থায় ফল ফ্রিজে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অধিদফতরের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরের তাপমাত্রায় তরমুজ বা আমের মতো ফল রাখা উচিত। এগুলো বাইরে রাখলে ফলের মধ্যে যেসব অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে তা ভালো থাকে। গবেষণা বলছে, ফ্রিজে তরমুজ রাখলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য ঘরোয়া তাপমাত্রায় তরমুজ রাখলে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হবে আর এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। তাই খুব প্রয়োজন না থাকলে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়, আর যদিও রাখেন তাহলে বেশিদিন রেখে খাবেন না। আবার ফল ও সবজি কখনো ফ্রিজে একসঙ্গে সংরক্ষণ করবেন না। সবসময় আলাদা করে রেখে দিন। কারণ ফল ও সবজি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ছেড়ে দেয়। সূত্র: কৃষিজাগরণ/ইন্ডিয়াডটকম/এনডিটিভি