গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোবাইল ব্যাংকিং পার্সোনাল বিকাশের ব্যালেন্সের টাকা উধাও হওয়াকে কেন্দ্র করে বিকাশে কর্মরত ডিএসওকে দোকানে আটকিয়ে বেধরক মারধর করে গুরুত্বর আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামালপুর বাজারের জননী লাইব্রেরীর মালিক এনামুল(৪০) এর দোকানে। সে নারগানা এলাকার বাতেন কাজীর ছেলে। এ বিষয়ে রাকিন ট্রেডিং কর্পোরেশন ডিস্টিভিউট লিঃ এর ডিএসও শফিক মাহমুদ বাদী হয়ে সোমবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শফিক মাহমুদ গত ৩০ এপ্রিল সকালে আনুমানিক ১১ ঘটিকায় জামালপুর বাজারের জননী লাইব্রেরীতে গেলে উক্ত দোকানের মালিক এনামুল ৩০ হাজার টাকা ব্যালেন্স চায়। সে দোকানের বিকাশ এজেন্ট নম্বরে (০১৮৬৯৩৮৯১০৫) টাকা দিয়ে দেই। পরে শফিক ক্যাশ টাকা চাইলে নগদ ক্যাশ টাকা নাদিয়ে এনামুল তাকে উদ্দেশ্য করে বলে আগের দিন (২৯ এপ্রিল) সকালে দোকানদারের পার্সোনাল বিকাশ (০১৭৫৬-০৮০৪৯২) নম্বর থেকে (০১৮২১-৪৫৪১৮৩) ২১ হাজার টাকা প্রতারনা করে নিয়েছি। পরে দোকানদারকে আমি বুঝাতে চাইলে আমার কথায় কর্ণপাত না করে আমাকে উদ্দেশ করিয়া অকথ্য, অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। তার ন্যায় সংঙ্গত প্রতিবাদ করিলে এনামুল, ছাব্বির ও অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন মিলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে নীলাফুলা জখম করে। এমনকি আমার পরিবারের লোকদের প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রাণ নাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে অফিসে খরব দিলে “রাকিন ট্রেডিং কর্পোরেশন ডিস্টিভিউটর লিঃ” এর সহকর্মীরা গঠনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। যাহার রেজিঃ নম্বর-১৩৬২/০৪। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দোকানদার এনামুল বলেন-আমার পার্সোনাল বিকাশ থেকে প্রতারণা করে ডিএসও শফিক মাহমুদ টাকা নিয়ে গেছে। আমি তাকে হুমকি দেইনি। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। রাকিন ট্রেডিং কর্পোরেশন ডিস্টিভিউটর লিঃ এর সুপারভাইরাজ ইনচার্জ (ডিএসএস) মোঃ সায়েদ হোসেন বলেন- জামালপুরের দোকানদার এনামুল বিকাশের ডিএসও কে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তাকে দোকানে আটকে রেখে বেধরক মারধর করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আশি। রাকিন ট্রেডিং কর্পোরেশন ডিস্টিভিউট লিঃ এর ম্যানেজার আমান হোসেন বলেনÑডিএসওকে মারধর কারাটা অন্যায়। বিচারটি আমাদের কাছে দিতে পারতেন। সে দুষি এটি কিন্তু এখনো প্রমানিত হয়নি। যদি ডিএসও সম্পৃক্ততা থাকে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। দুষি সাভ্যস্থ্য না হাওয়া পর্যন্ত বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ আনিসুর রহমান কে একাদিকবার মোবাইলে ফোন দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।