ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বুড়ি ভৈরব নদীর উপর ফুলবাড়ী রেলগেট থেকে হাসানহাটি ভায়া কাস্টভাঙ্গা ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি গার্ডার ব্রিজ (চে: ১০১৪ মিটার) এর নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার এলজিইডি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে কাজটি চলমান রয়েছে। এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ২৮ আগস্ট ২০২১ তারিখে শুরু হয়, যার সমাপ্তির তারিখ নির্ধারিত আছে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। ব্রীজটির প্রাক্কলিত মূল্য ৪ কোটি ৬২ লাখ ৮৩ হাজার সাতশ এক টাকা।চুক্তি মূল্য রয়েছে ৪ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার পাঁচশত আটাত্তর টাকা আট এক শুন্য মাত্র। সরোজমিনে ব্রীজটির কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমানায় বারোবাজার ও কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়নের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী নির্মাণাধীন এ ব্রীজের কাজ এগিয়ে চলছে। মেসার্স নিয়াজ ট্রেডার্স এবং মোঃ মিজানুর রহমান জেভি নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ব্রীজটির নির্মাণের কাজ করছে।নির্মাণ সাইডে উপজেলা প্রকৌশলী, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ফোরম্যানসহ নির্মাণ শ্রমিকরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত ব্রীজটির চল্লিশটি পাইল, চারটি পাইল ক্যাপ, দুইটি কলামের দুইটি করে লিফট ঢালাই এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে সিডুউল ও ওয়ার্কস্টিমেটে উল্লিখিত নির্মাণসামগ্রী যথাযথ ব্যাবহার করা হচ্ছে। ওয়ার্ক স্টেশনে উপস্থিত থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বুঝে নিচ্ছেন ও তদারকি করছেন। পূর্বে এই ব্রীজটির স্থানে একটি ছোটো কালভার্ট ছিল। কালভার্টটি ছোট হওয়ায় নদীর স্বাভাবিক গতিপথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছিল। ব্রীজটি নির্মাণ হলে নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ ফিরে পাবে। পাশাপাশি এই দুই ইউনিয়নের জনগণের বহুদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবং যাতায়াত ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। ঐএলাকার ঝনঝনিয়া গ্রামের কামাল হোসেন জানান, এই ব্রীজটি আমাদের এলাকার মানুষের জন্য খুব উপকার হবে। আমরা চাই ব্রীজের কাজ সুন্দরভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হোক। বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান,ফুলবাড়িয়া এলাকার জনগনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ব্রিজটি নির্মাণ করে দেওয়ার। সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার এর একান্ত প্রচেষ্টায় দেরিতে হলেও ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং যথাসময়ে তা সম্পন্নও হবে বলে আশা রাখি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সাজন আহমেদ জানান, সকল নিয়ম মেনে যথাযথ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেই কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারও সার্বক্ষণিক এইসব কাজের তদারকি করছেন। আপনাদেরও সাইডে এসে কাজ দেখার জন্য আহবান করছি। ভালো কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, চলমান ব্রীজটির কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে এবং এখন পর্যন্ত হওয়া কাজ সন্তোষজনক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা রাখি। এই ব্রীজটি ব্যবহারে দুই ইউনিয়নের লোক অনেক উপকৃত হবেন বলে আমি মনে করি।