চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া ষ্টেশন হতে গুদীর নাম দিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপী দেওয়ান। স্থানীয় ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে বুধবার উভয় পক্ষের আনুষ্টানিক শুনানী শেষে বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান তাঁর অফিসের নিলামের বৈধতা প্রমান করতে না পারায় এ নির্দেশ দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপী দেওয়ান। অভিযোগ নামায জানাযায়, পার্বত্য লামা থেকে আগত সাধারণ কৃষকের উৎপাদিত পন্য, সব্জি, বাঁশ, ছন ও লাকড়ি থেকে টেক্স আদায়ের স্থায়ী কোন গুদী না থাকা সত্বেও একটি চক্র জোরপূর্বকভাবে কৃষককের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। এতে সাধারণ কৃষকরা প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করেন চক্রটি। ইউএনও জেপি দেওয়ান জানান, ওইস্থানে সাধারণ কৃষকরা বেচা বিক্রি করলেও টোল উঠানোর জন্য কাউকে বৈধ অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু একটি চক্র সেখানে সাধারণ কৃষককের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে টাকা উত্তোলন করছে এমন স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮ মে অফিসিয়াল আদেশে অবৈধ টাকা আদায়ে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বাদী হয়ে গত ১৯ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ১০ মে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপ্রেক্ষিতে গত ১৮ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বানিয়াছড়া গুদী বা রাস্তার উপর থেকে কোন ধরণের টাকা আদায় না করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কেউ অবৈধ টাকা আদায়ের চেষ্ঠা করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।