ঢাকার দোহারে হঠাৎ করে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। এতে করে পদ্মা নদীর বুকে চাষাবাদ করা ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ফসল ডুবিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। সারা বছরের খাদ্যের যোগান দেওয়া ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাজ পড়েছে কৃষকের কপালে। ভারত থেকে আসা পানির কারণে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। দোহারের মাহমুদপুর, বিলাশপুর, কুসুমহাটি ও নয়াবাড়ী ইউনিয়নের নি¤œ অঞ্চলের কৃষি জমির ফসল পানিতে ডুবে যাচ্ছে। হঠাৎ করে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেড়ে যাচ্ছে নদ নদীর পানি। ফলে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাদাম,তিল,ধানসহ নানা ধরনের ফসল। কৃষকরা পরছে চরম বেকায়দায়। বেশিরভাগ ফসল কাঁচা থাকার কারণে ফসল ঘরে তুলতে পারছে না অনেক কৃষকরা। অনেকে আবার আধা পাকা ফসলই তুলছে ঘরে। কারো কারো ফসল উঠাতে পারছে না বেশি পানির কারণে। এই জন্য অনেক কৃষকদেরই লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কৃষক আ.ওহাব জানান আমার ফসল এবার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।ফসল ঘরে তুলতে পারছি না। অনেক ক্ষতি হচ্ছে এবার। কুসুমহাটির কৃষক ইউসুফ জানান” হঠাৎ করে পানি বাড়ার কারনে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। বাদাম এখনো ঠিকমতো পাকে নাই। কাঁচা বাদাম ই ঘরে তুলতে হচ্ছে।” মাহমুদপুরের আরেক ক্ষৃক রনি জানান অনেক টাকা খরচ কইরা ফসল বুনছি আর তা এখন পানিতে ‘নিয়ে যাচ্ছে। আমার অনেক টাকা লোকসান হবে। জানা যায়, উজানের পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। শনিবার সকাল ৯টায় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির কারণে দোহার উপজেলায় নদীর বুকে কৃষকের বাদাম, ভুট্টা, পাট, ধান, পেঁয়াজ, রসুন, কালাই সহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউয়িনের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, নদীর পানি বাড়ার কারণে আবাদী জমি এখন পানি উঠছে। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার বুকে চাষাবাদই আমাদের সারা বছরের খাবারের যোগান দেয়। নদীর বুকে, পেঁয়াজ-রসুন, লাল শাক ও ধান ও পাট লাগিয়েছিলাম। হঠাৎ বন্যায় সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এ বছর কীভাবে চলব, ভেবে পাচ্ছি না। একই এলাকার কৃষক মেহের মোল্লা বলেন,হঠাৎ পানি বাড়ায় আমরা খুব বিপদে পরেছি।আমার বাদাম তলিয়ে যাচ্ছে। এদের মতো অনেক কৃষকের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে রয়েছে। নদীর বুকে চাষ করা ভুট্টা, বাদাম, ধান পাট তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ফসল ঘরে তুলার আগেই তাদের স্বপ্ন ভাসছে পানিতে। নদীর পানি যদি আরো বাড়তে থাকে পদ্মা পাড়ের কৃষকরা আরো ক্ষতির সম্মুখিন হবে। এই অসহায় ক্ষৃকদের বাকি ফসল ঘরে তুলতে পারুক। লোকসানের মাত্রা কিছুটা কম হোক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।