ঝিনাইদহে ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। বজ্রপাতে পশু ও মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘাচ্ছন হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বৃষ্টির সাথে শুরু হয় প্রচন্ড ঝড়। এতে কালীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর, রঘুনাথপুর, পিরোজপুর ও খোসালপুরসহ ১০টি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১০ মিনিট স্থায়ী হওয়া এই ঝড়ে বাড়িঘর, আম, কলা, ফসল, বিদ্যুতের পোল ও বিভিন্ন গাছ ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একই সাথে হরিণাকুন্ডু উপজেলা জোড়াদহ, মালিপাড়া, তৈলটুপিসহ কয়েকটি গ্রামে পান ও কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এনায়েতপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ১০ মিনিটের ঝড়ে আমাগের সব শ্যাষ করে দিয়ে গেছে। গাছ-পালা ভাঙ্গে গেছে। কারেন্টের পোল ভাঙ্গে গেছে। রাস্তা বন্ধ ছিলো। আমাগের ম্যালা ক্ষতি হয়েছে। পিরোজপুর গ্রামে আব্দুস সাত্তার বলেন, সকালে হঠাৎ করে খুব ঝড় শুরু হয়। এর আগে আম্পানের সময় যে ঝড় হয়েছিল। তেমন ঝড় আজকে হয়েছে। আমাগের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে। আম বাগান, লিচু বাগান, কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে। কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বসাক বলেন, ঝড়ে ৩৩ টি বিদ্যুতের পোল ভেঙ্গেছে। তাছাড়া ৩৩ কেভি লাইনের উপর গাছ পড়েছে আর তার ছিড়ে গেছে। আমাদের সব স্থানেই মেরামতের কাজ চলছে। সঠিক সময় বলা সম্ভব না তবে বিকেলের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। এদিকে শৈলকুপা উপজেলার কুলচারা গ্রামে বজ্রপাতে স্বামী আহত ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সকালে তারা দু’জনে বাড়ির পাশের মাঠে বেগুন তুলতে যায়। ঝড় থামার পরে স্থানীয়রা মাঠে গিয়ে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রুপসী খাতুনকে মৃত ঘোষনা করে। আহত গোলাম নবীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে সদর উপজেলার ডেফলবাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরের দুটি মহিষ মারা গেছে। যার মুল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করছি। তালিকা শেষ হয়ে তারা যেন সহযোগীতা পায় সে ব্যাপারে মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা হবে।