বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কেউ যদি মনে শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে, তাহলে এটা ভুল চিন্তা করবে। আওয়ামী লীগের কর্মী সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী সঙ সাজার জন্য? এটা যদি কেউ ভাবে তাহলে ভুল ভাববে। তিনি বলেছেন, এই সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই সভ্য, গণতন্ত্র, নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন করা সম্ভব না। তাই আগামীতে রাস্তার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি’তে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বাংলাদেশের যে সঙ্কট, সেই সঙ্কট সমাধান হতে পারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে। এই দেশে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকার, তা মীমাংসা হতে পারে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বাংলাদেশে যে ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা মাত্র পথ, ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বাধীনতার, গণতন্ত্রের জন্য পতাকা উড়িয়েছিলেন সেই জায়গায় ফিরে যাওয়া। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই। তিনি বলেন, আমরা শুধু যে নির্বাচনে যাব না এই পর্যায়ে থাকবো এটা ভাবা ঠিক হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল, স্বাধীনতার ঘোষকের দল, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের দল। এই দল অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করে না। অনেকেই ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে গিয়েছিল। তাতে বিএনপি’র কিছু যায় আসে নাই। বিএনপি এরশাদের সাথে আপোষ করে নাই। এই সরকারের আমলে এমন কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নাই যে ২০০ থেকে ৩০০ গুণ দাম বাড়ে নাই মন্তব্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আমলে তেলের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা লিটার, চাউলের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৬ টাকা। আর এখন তেলের দাম ২০০ টাকা তাও পাওয়া যায় না। চাউলের দাম কত তা আপনারা তো জানেন। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে হলে খালেদা জিয়া সরকার দরকার। এর কোনো বিকল্প আছে বলে আমি মনে করি না। সাবেক ছাত্র নেতা সুরেঞ্জেন ঘোষের সভাপতিত্বে ও ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।