সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

তাড়াশে বেড়েছে ঘুঘু পাখি

বিশেষ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ মে, ২০২২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগের তুলনায় ঘুঘু পাখি বেড়েছে। বর্তমানে এ উপজেলার শহর এলাকাতেও অনেক ঘুঘু পাখি চোখে পড়ে। বিশেষ করে তিলা ঘুঘু। স্বাধীন জীবন নামে একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্টাতা ও নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিম বলেন, মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। পাখি শিকারীদের দৌড়াত্ম্যও কমছে। ফলে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরে ঘুঘু পাখি বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, বন্দি পাখি উদ্ধার ও আহত পাখি বাঁচাতে আমি প্রাণান্তর চেষ্টা করি। বিপদগ্রস্থ পাখির খোঁজ পেলে সেখানেই ছুটে যাই। (২১ মে) শনিবার সকালে তাড়াশ পৌর এলাকার একটি কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ঘুঘু পাখির দেখা মেলে। পাখিগুলো খাবারের সন্ধান করছিল সম্ভাবত। ঐ কলেজের নৈশ প্রহরী বলেন, কলেজের অফিস কক্ষের সামনে ছোট্ট গাছে এক জোড়া ঘুঘু পাখি বাসা বেধেছে। পরে দুইটি ডিম দিয়েছে। খুব কাছে থেকে সেই ঘুঘুর বাসা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ঘুঘুর বাসাটির খেয়াল রাখছি। শিকারী বা শিশু-কিশোররা ক্ষতি করতে পারবেনা। শামীম আহমেদ নামে তাড়াশ সদর গ্রামের এক জন কৃষক বলেন, ৬০ বিঘা খেতে বোরো ধান ও আমনের আবাদ করেন তিনি। বিশেষ করে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সময় ঘুঘু পাখি ধান খাওয়ার জন্য দল বেধে বীজতলার মধ্যে নেমে পড়ে। পাখিগুলো কিছুটা ক্ষতি করে বটে। কিন্তু তিনি কীটনাশক ছিটিয়ে দেননা বা ফাঁদ পেতে রাখেন না। বরং ধানের চারা একটু বড় হওয়া অবদি কৃষি শ্রমিক রেখে দেন বীজতলা পাহাড়া দেওয়ার জন্য। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তনা। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রং বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি কালো। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে আমাদের অঞ্চলে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com