নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনি ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মারামাটি ঠেকাতে গিয়ে আব্দুস সালাম নামে ওই স্কুলের এক শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (৩০ মে) বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষা পরিবারের সদস্য’র ব্যানারে শিক্ষক সমাজ এক মানববন্ধন করেন। এ সময় বক্তব্য দেন লোহাগড়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান, লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আমির হোসেন, জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, চাচই-ধানাইড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জমান ঠান্ডু, সদর উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, লক্ষীপাশা আর্দশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হাসানুজ্জমান প্রমুখ।বক্তারা লোহাগড়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সালামের উপর হামলাকরীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবি জানান। সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৯মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে লোহাগড়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির কয়েক ছাত্র তাদের ধমক দেয়। এ ঘটনার কিছু সময় পর নবম শ্রেণির ছাত্র এবং বহিরাগত কিছু উচ্ছৃংল ছাত্র ও যুবক লাঠিসোটা নিয়ে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে দশম শ্রেণির কয়েক ছাত্রের ওপর চড়াও হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম ছাত্রদের এ মারামারি ঠেকাতে গেলে তিনি তাদের হাতে মারধর ও লাঞ্চিতের শিকার হন। বিষয়টি জানার পরপরই লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসগর আলী, লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক আব্দুস সালাম বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। লোহাগড়া পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ২টা থেকে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছিল। এ সময় স্কুল প্রায় ফাঁকা ছিল এবং শিক্ষকও কম ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে ু স্কুলের কতিপয় ছাত্র এবং কিছু বহিরাগত উচ্ছৃংখল ছেলে স্কুলের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস ছালাম তাদের নিবৃত করতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং লাঞ্চিত করে। তখন আমি মাইকে সবাইকে নিবৃত করার চেষ্টা করি। আমরা চাই এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীরাই আইনের আওতায় আসুক। সবাই আমাদের সন্তানের মতো। আমার দাবি নিরীহ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।