বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক। কয়েক কোটি ব্যবহারকারী থাকলেও এরই মধ্যে বেশি কিছু দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে সাইটটি। তারপরও মেটার মতো সংস্থাকে অস্বস্তিতে রেখে হু হু করে জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে ভারতে নিষিদ্ধ অ্যাপ টিকটকের।
সংবাদ মাধ্যমের তথ্য বলছে, বছরের প্রথম তিন মাসের হিসাবে জনপ্রিয়তায় শীর্ষেই রয়েছে টিকটক। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যানে একেবারেই খুশি নয় মেটা। তাই টিকটককে টেক্কা দিতে মরিয়া হয়েই ফেসবুকে বড় পরিবর্তন আনতে চাইছে মেটা। এর আগে মেটা ২০২০ সালে টিকটকের মতো রিলস ফিচার যুক্ত করেছিল ইনস্টাগ্রামে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকেও দেখা মিলেছে শর্ট ভিডিওর। তারপরও টিকটককে ছাড়িয়ে যেতে পারছে না মেটা। এবার বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তায় অস্বস্তিতে মেটা। তাই এবার ফেসবুক তার অ্যালগরিদম বদলানোর পরিকল্পনা করেছে। যার সাহায্যে ইউজারদের বেশি পরিমাণে কন্টেট সরবরাহ করা হবে।এমনকি যে কন্টেন্টের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই, সেই কনটেন্টও ফুটে উঠবে ফেসবুকের টাইমলাইনে। অর্থাৎ টিকটকের ‘ফর ইউ’-এর মতোই এবার ফেসবুকে এমন কনটেন্টও দেখা যাবে যেটি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের বাইরে থাকা ইউজারের। এছাড়া ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আর আলাদা আলাদা অ্যাপ থাকছে না বলেও দাবি রিপোর্টের। সব মিলিয়ে ফেসবুককে একটি ‘ডিসকভারি ইঞ্জিন’ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় মেটা। এর আগে এই শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছিল মার্ক জুকেরবার্গের মুখেও। সব মিলিয়ে মেটা ফেসবুককে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখেছে তা হল রিলকে সফল করে তোলা, মেসেজ-নির্ভর শেয়ারিংকে আনলক করা এবং বিশ্বমানের টেকনোলজি ব্যবহার করা। সূত্র: দ্য ভার্জ