ঘরে আর কিছু থাক বা না থাক, ডিম থাকেই। শুধু দামে সস্তা বলে নয়, বরঞ্চ সহজ খাবার ও সুস্বাদু হওয়ার কারণেও। তাছাড়া ডিম স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৫, বি১২, বি৬, ডি, ই, কে, ফোলেট, ফসফরাস, সেলিনিয়াম, ক্যালিয়াম ও জিংক। প্রতিটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। তাই ডিমকে খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে নিম্নমানের ডিম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার আগে তা পচা নাকি ভালো তা যাচাই করে নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবপোর্টাল হেলথলাইন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমের গুণগতমান পরীক্ষা করার খুব সহজ একটি উপায় রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে কেবল এক গ্লাস পানি।
এক গ্লাস পানি নিন। গ্লাসের পানি যেন অর্ধেকের চেয়ে কিছুটা বেশি ভর্তি হয়। এবার একটি ডিম নিয়ে গ্লাসের পানির মধ্যে রাখুন। পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার পর ৩টি অবস্থা দেখা যেতে পারে। ডিমটি যদি পানির একেবারে নিচে চলে যায় তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন যে ডিমটি ভালো। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে ডিম খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিমটি যদি পানির নিচে গিয়ে উল্লম্বভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে এর মানে হলো ডিমটি অনেক পুরোনো এবং এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর যদি দেখা যায় ডিম পানির ওপরে ভাসছে বা উপরে আসছে তাহলে ডিমটি পচা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
পচা ডিম চেনার আরো কিছু উপায় রয়েছে। যেমন- * ডিম আলতো করে ঝাঁকিয়ে দেখুন। পচা ডিম থেকে তুলনামূলক বেশি শব্দ আসবে। দোকান থেকে ডিম কেনার সময়তেও এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। * ডিম ফাটানোর পর যদি দেখেন সাদা অংশ ঘন, তা হলে বুঝবেন ডিম টাটকা। ডিম যত পুরোনো হয়, এই সাদা অংশ তত পাতলা হতে থাকে। ডিমে যদি কালো বা সবুজ ছোপ দেখেন তাহলে বুঝবেন ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে ডিমে।
* একটি সমান প্লেটের ওপর ডিম ফাটান। যদি দেখেন কুসুমটি একই জায়গায় রয়েছে। তবে বুঝবেন ডিমটি ভালো রয়েছে। আর ডিমের কুসুমটি ছড়িয়ে গেলে বুঝতে হবে ডিমটি নষ্ট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পচা ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিম্নমানের ডিম সালমোনেলা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। সালমোনেলা এমন এক ধরনের ব্যাকটিরিয়া যা খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।