কোনও ঢাক ঢাক গুড় গুড় নেই। ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার জীবনিকার তাঁর লেখায় স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন তৎকালীন পাটনা কলেজ এর তেজস্বি ছাত্র যশবন্ত সিনহার প্রেমকাহিনী। যা কমেডি হয়নি, ট্রাজেডিতেই যার পরিণতি পাটনা কলেজে পড়ার সময়ই বিহারী যশবন্ত প্রেমে পড়েন কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী বাঙালিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এর। অসামান্য সুন্দরী, বিদুষী ছিলেন মীনাক্ষী। একদিন এক মেঘলা দুপুরে মীনাক্ষীকে প্রেম নিবেদন করেন সেদিনের তরুণ যশবন্ত। মীনাক্ষী বলেন, সে কি করে হয় তোমরা বিহারী আমরা বাঙালি। আমাদের সংস্কৃতি, আবহ সব তোমাদের থেকে আলাদা। আমরা ভালো বন্ধু হয়ে থাকি। যশোবন্ত এই ঘটনার পর মীনাক্ষীর সঙ্গে আর কথা বলেননি। এর কিছুদিন পরে মীনাক্ষীর বিয়ে হয় পাটনা কলেজের লেকচারার সুজিত বন্দোপাধ্যায় এর সঙ্গে।
সুজিত আবার যশবন্ত এর সিনিয়র ছিলেন। বোনের মারফত বিয়েতে মীনাক্ষী আমন্ত্রণ জানান যশবন্তকে তারপর দুজনের রাস্তা আলাদা খাতে বয়ে যায়। যশবন্ত সফল বুরোক্র্যাট এর জীবন ছেড়ে রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিয়ে করেন হিন্দি ভাষার লেখিকা নীলিমাকে। তিন কৃতি সন্তানের জনক হন – জয়ন্ত, শর্মিলা এবং সুমন্ত। অনেক পরে সুজিতের মৃত্যুর পর একবার দেখা হয়েছিল মীনাক্ষী – যশবন্ত এর। তারপর মীনাক্ষীরও প্রয়াণ হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সেদিনের সেই স্মৃতি বুকে নিয়ে ঘুরছেন। রাজনীতিবিদদের কত কথাই না আমাদের অজানা থাকে!