চাঁদপুর জেলার মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি প্রতিদিনই রোগী ভরপুর থাকে। এছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের ঢাকা বা অন্যত্র প্রেরণ করলে তখন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া মনে হয় সোনার হরিণ হয়ে যাচ্ছে। তার কারণ চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মোট ৩টি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ১টি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ বছর যাবৎ। অপর দু’টির মধ্যে এ হাসপাতালে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালক থাকায় একটি নিয়েই চালককে রোগী নিয়ে পাড়ি দিতে হয়। অপর এ্যাম্বুলেন্সটির চালক না থাকায় তাও দীর্ঘ দিন পড়ে রয়েছে। তার কারণে এ এ্যাম্বুলেন্সটিও অকেজো হওয়ার পথে। চাঁদপুর এ হাসপাতালটিতে শুধু চাঁদপুর জেলার নয় এর আশেপাশে কয়েকটি জেলার রোগীরাও সেবা নিতে এ হাসপাতালটিতে চলে আসছে যাতায়াতাতের সুবিধার জন্য। এ হাসপাতালটিতে একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স সচল থাকায়, প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সগুলো সারিবদ্ধভাবে হাসপাতালের সামনে রেখে দেয় এবং এদের একটি চক্রের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদেরকে জিম্মি করে বর্তমাণ ভাড়ার অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায় এ্যাম্বুলেন্স চালকদের মধ্যেই এক রুগী নিয়ে তিন চার জন প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স এর চালকরা টানা হেচড়া করছে। এতে করে সাধারণ রোগীরা বিপাকে পড়ে যায়। এসব দেখার মতো যেন মনে হয় কেউ নেই। তাই চাঁদপুরবাসীর দাবী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কয়েকটি উন্নত মানের এ্যাম্বুলেন্স এবং এ্যাম্বুলেন্স অনুযায়ী চালক নিয়োগ দান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন তিনি বলেন আমরা সব সময় হাসপাতালের রোগীদের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই না এ হাসপাতাল থেকে সাধারণ রোগীরা ভালো সেবা থেকে বঞ্চিত হোক। আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি এ হাসপাতালের সর্বদিক দিয়ে মনিটরিং এর মাধ্যমে সেবার মান বাড়ানোর জন্য। এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পূর্বেই চেষ্টা করা হয়েছে। সামনে আরো চেষ্টা করে যাবো।