গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবক’টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এদিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে এমন ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় নাম লেখালেও লেনদেনের আধাঘণ্টার মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের পতন প্রবণতা। ফলে সবকটি সূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৭টির। আর ১৮২টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৪৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৪৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন হাউজিং, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, শাহিনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির এবং ১০৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।