আরবী মাসের ১২ রবিউল আউয়াল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে সিরাতুন্নবী সা. উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সম্প্রতি বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, হামদ না’ত ও গজল সন্ধ্যা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র।
অধ্যাপক কবি আবু তাহের বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও ইসলামী গবেষক প্রফেসর ড.এম শমসের আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন।
মাহবুব মুকুলের উপস্থাপনায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মোঃ শামছুল আলম, বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ শেখ মোহাম্মদ জসিম, কবি আসাদ বিন হাফিজ, কবি মোশাররফ হোসেন খান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সহসভাপতি কবি শিল্পী যাকিউল হক জাকী ।
প্রধান অতিথি বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: তাঁর পুরো জীবনে দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল হয়েছেন। দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে মহানবী সা:কে তাগুতি শক্তির সীমাহীন রোষানলে পড়তে হয়েছে। তৎকালীন রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তাগুতি শক্তি কর্তৃক সীমাহীন অপবাদ, নির্মম পাশবিকতা-জুলুম-নির্যাতন-নিষ্পেষণ এমনকি নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েও তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ব্যাপারে কোনো আপস করেননি।
প্রফেসর ড. এম শমসের আলী বলেন, পৃথিবীর একমাত্র আদর্শ নবী মুহাম্মদ সা:। মুসলমান কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। ইসলামী সংস্কৃতি সব সময়ই মানুষের কল্যাণের পক্ষে কথা বলে। মানুষের আত্মীক উন্নয়নে এ সংস্কৃতির গুরুত্ব আবশ্যকীয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কবি আবু তাহের বেলাল বলেন, কুরআন নাজিল হয়েছিল রাসূলের প্রতি আর কুরআনের লক্ষ্যকে বুঝতে হলে রাসূলের জীবনী অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। রাসূল সা:-এর আগমন হয়েছিল বিশ্বের সর্বাধিক অন্ধকারাচ্ছন্ন, বিভ্রান্ত ও বিপথগামী জাতির মধ্যে। তারা যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যা-নির্যাতন, দুর্বল ও নারীদের প্রতি অত্যাচার, মদ্যপানসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। আর রাসূল সা: তার জীবদ্দশায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে একরম একটি মূর্খ জাতিকে সুপথে এনেছেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শরীফ বায়জিদ মাহমুদ, গান পরিবেশন করেন নোলক বাবু, তাফাজ্জল হোসেন খান, ইয়াকুব আলী খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, আবু বকর সিদ্দিক, গোলাম মওলা, হাসনাত আব্দুল কাদের, লিটন হাফিজ চৌধুরী, মশিউর রহমান লিটন, আমিরুল মোমেনীন মানিক, বেলাল খান ও শিশু শিল্পী জাহিন ইকবাল। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে দলিয় নাতে রাসূল সা: পরিবেশন করেন মহানগর শিল্পীগোষ্ঠী, মল্লিক একাডেমি, অনুপম সাংস্কৃতিক সংসদ, সন্দিপন, জাগরণ, নিমন্ত্রণ ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় একাধিক শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি