সুগারমিলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সুগারমিলের অনেক পতিত জমি আছে। সেগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি কোথায় কোথায় পতিত আছে, তা খুঁজে বের করে চাষের আওতায় আনতে হবে।’ রবিবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব সায়েদুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় সুগারমিল এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই যেকোনও মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য, মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের আরও তৎপর ও সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে উৎপাদন আরও বাড়ান যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে ‘সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এবছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।