জেমস ক্যামেরনের টাইটানিকে জ্যাকের চরিত্রে লিওনার্দোকে ছাড়া কাউকে আজ আর ভাবা যায় না। কিন্তু সিনেমাটিতে তার যাত্রা সরল ছিল না। শুরুতেই একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে। সিনেমার জন্য স্ক্রিন টেস্ট দিতে রাজি ছিলেন না লিওনার্দো। জিকিউ ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জেমস ক্যামেরন। তিনি জানান, ‘?আমি বলেছিলাম টেস্ট না দিলে আমি তোমাকে কাস্ট করতে পারব না।’
ক্যামেরন যখন এ সিনেমার আয়োজন করছিলেন, ডিক্যাপ্রিও ততদিনে পরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা। মজার ব্যাপার, সিনেমার জন্য প্রথমে নায়িকাকে নির্বাচন করেছিলেন ক্যামেরন। রোজের চরিত্রে কেট উইন্সলেট অভিনয় করছেন তা নিশ্চিত করে তার বিপরীতে নায়ক খুঁজছিলেন ক্যামেরন। এ সময় একটি মিটিং আয়োজন করেন তিনি। সেখানে ডিক্যাপ্রিওর আসার কথা। ক্যামেরন বলেন, ‘?সাক্ষাৎটা খুব মজার ছিল কেননা আমি আমার কনফারেন্স রুমে বসে আছি এবং অভিনেতার জন্য অপেক্ষা করছি। আমি আশপাশে তাকিয়ে উপস্থিত নারীদের দেখলাম এবং তারা সবাই লিওর সঙ্গে দেখা করতে উৎসুক।’ ডিক্যাপ্রিও সবাইকে মুগ্ধ করতেন।
লিওনার্দো বুঝতে পারেননি যে তার মতো অভিনেতাকে স্ক্রিন টেস্ট দিয়ে রোল নিতে হবে। তিনি যখন ক্যামেরনের সঙ্গে দেখা করেন, পরিচালক তখন ক্যামেরা রেডি করে ভিডিও রেকর্ডের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। ক্যামেরন স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘?আমি তাকে বললাম যে পাশের রুমে গিয়ে আমরা একটা টেস্ট নেব। আপনি কয়েক লাইন সংলাপ বলবেন আর তা রেকর্ড করা হবে।’ লিওনার্দো অবাক হয়েছিলেন এবং বলেন, তিনি এভাবে কাজ করেন না। ক্যামেরনও তৎক্ষণাৎ হাত মিলিয়ে বলেছিলেন, ‘?আসার জন্য ধন্যবাদ।’ ক্যামেরনের আচরণে অবাক হয়েছিলেন ডিক্যাপ্রিও। টেস্ট না দিলে রোলটা পাবেন না সেটা জেনে সহজে মানতে পারেননি তিনি। ক্যামেরন তাকে জানিয়েছিলেন পোস্ট প্রোডাকশনে গিয়ে নিজের কাস্টিং সম্পর্কে আফসোস করতে চান না তিনি। তাই এখন টেস্ট নেয়াই ভালো। এরপর টেস্ট দিয়েছিলেন ডিক্যাপ্রিও। ক্যামেরন বলেন, ‘?সে এসে একটা নেতিবাচক ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু আমি অ্যাকশন বলতেই সব বদলে গেল। কেট আর লিও অসাধারণ কাজ করেছিলেন এবং আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম একেই আমার সিনেমার জন্য প্রয়োজন।’