তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির ১১ জানুয়ারির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে হাঁকডাক সর্বস্ব বলে মন্তব্য করে বলেছেন, তাঁদের সমাবেশ দেখে এটিই প্রতীয়মান হয়- জনগণ তো দূরের কথা, বিএনপির কর্মীরাও সবাই সেখানে অংশগ্রহণ করেনি।
মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘গতকাল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো ঢাকা শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এবং এটিকে সামনে রেখে তারা গত কয়েকদিন ধরে অনেক হাঁকডাক দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন যে, হাঁস ডিম পাড়ার আগে কিন্তু অনেক হাঁকডাক দেয় এবং শেষে একটা ডিম পাড়ে। বিএনপিও ঠিক সে রকম গতকালের কর্মসূচি নিয়ে অনেক হাঁকডাক দিয়েছে এবং শেষে দেখা গেলো ৫২ দলের সব নেতাকর্মী মিলে কয়েকশ’ মানুষ, আর বিএনপির সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ। খালি কলসি বেশি বাজে, বিএনপির হাঁকডাকটাও ছিল ঠিক সে রকম।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বাস্তবতা হচ্ছে তাঁদের কালকের সমাবেশ দেখে এটিই প্রতীয়মান হয়- জনগণ তো দূরের কথা, বিএনপির কর্মীরাও সবাই সেখানে অংশগ্রহণ করেনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা মানুষ এনেছে, তারপরও নয়াপল্টনের সামনের সমাবেশে আশানুরূপ মানুষ হয়নি।’
আগামী ১৬ জানুয়ারি বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা যেমন ১১ তারিখ ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সতর্ক পাহারায় ছিলাম, ১৬ তারিখেও থাকবো। তাঁরা যদি কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা চালায় জনগণকে সাথে নিয়ে সেটি প্রতিহত করা হবে। দেশে কাউকে শান্তি স্থিতি, শৃঙ্খলা এবং জনজীবনে নিরাপত্তা বিঘিœত করতে দেওয়া হবে না।’
বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার জামিনে মুক্তি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস সাহেব মুক্তি পেয়েছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এতেই প্রমাণিত হয় দেশে আইন আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিএনপি বারবার আইন আদালত নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে সেটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাঁদের জামিনের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে জেল থেকে বের হওয়ার পর মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুলসহ নেতারা একটু গণতন্ত্রের পথে হাঁটার মতো করে বক্তব্য দিতে চেষ্টা করছেন বলে আমি মনে করছি’।
তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস বলেছেন- আমরা কাউকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে চাই না, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দিতে চাই।’ আমরা তো বলি আপনারা নির্বাচনে আসুন, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ যদি চায় তাহলে আমরা দেশ পরিচালনা করবো। জনগণ যাদেরকে চায়, তাঁরা দেশ পরিচালনা করবেন। এটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার রীতিনীতি, গণতন্ত্রের রীতিনীতি। তাঁরা গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবেন সেটিই আশা করি। তাঁদের দু’জনেরই সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করি। সরকার করোনার চতুর্থ ডোজ দিচ্ছে, প্রয়োজনে তাঁরা সেটিও নিতে পারেন।’