জামালপুরে জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ফারহানা সোমার নেতৃত্বে এক ঠিকাদারের বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শহরের কাচারীপাড়ায় ঠিকাদার আবু সাইদের ১৪ শতাংশ জমির উপর বাড়ি দখলের অভিযোগ করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সন্মেলনে ঠিকাদার আবু সাইদের মেয়ে শারমীন সুলতানা ছন্দা বলেন, আমার বাবা ঠিকাদার আবু সাইদ ইজতেমায় গিয়েছেন। বাসায় বাবা না থাকায় সেই সুযোগে শনিবার সকালে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফারহানা সোমার নেতৃত্বে ফ্লিমি স্টাইলে ১০০/১৫০ লোক দা,লাঠি ও বাশ সহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ি দখল করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি কান্নাজড়িত হয়ে আরো বলেন, আমার বাবা ক্রয় সুত্রে এই জমির মালিক। এই বাড়িতে আমরা ২৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। বাবা ইজতেমায় চলে যাওয়ায় বাড়িতে আমি একাই ছিলাম। সেই সুযোগে ফারহানা সোমা আমাকে মারধর করে বাড়ি দখল করে নেয়। এখনো যুব মহিলা লীগের সভাপতি লোকজন বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারছিনা। তিনি আরও বলেন, আমি এই বিষয়ে থানায় গেলে পুলিশ ফারহানা সোমা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হওয়ায় অভিযোগ নেন নি। আমি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের পরিবারের নিরাপত্তাসহ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমার নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যুরা বাশ টিনের চালা তুলে অবস্থান করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল, জামালপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল ইসলাম মানিক কর্তৃক অবৈধ ভাবে জমি ভোগদখল এবং জামালপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফারহানা সোমা বলেন, একরামুল ইসলাম মানিক একজন বিএনপির ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমি জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে সহ তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ভোরে শহরের কাচাড়ি পাড়াস্থ তার শশুরের বসতবাড়ি সংলগ্ন জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে মানিক। ফারহানা সোমা আরও বলেন, সেসময় জমির প্রকৃত মালিক ( আমার দুলাভাই ও বোন) মানিককে বাঁধা প্রদান করলে সেখানে উপস্থিত আমার দুলাভাইয়ের বড় ভাইয়ের স্ত্রী কে মেরে রক্তাক্ত করে মানিক। বর্তমানে সে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে খবর শুনে ঝামেলা মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে এলাকার গণ্যমান্য কতিপয় ব্যাক্তিসহ আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মানিক এবং তার ক্যাডাররা আবার ক্ষিপ্ত হয়। এরপর এলাকার সকলকে উপেক্ষা করে কারও কথা না মেনে মানিক ও তার স্ত্রী থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। থানায় কোন সুবিধাকরতে না পেরে পরবর্তীতে মানিক তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা ছন্দাকে দিয়ে আমার ও আমার রাজনৈতিক সংগঠনসহ আমার কর্মস্থলের নাম উল্লেখ্য করে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় জামালপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমা উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে তাকে রাজনৈতিক হেয় প্রতিপন্ন করার জোর প্রতিবাদ জানান ও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।