বিলীন হতে চলেছে আজ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি ও ঢেঁকি ছাঁটা চালের খাবার। বাংলাদেশি বধূদের জীবনে অতপ্রতভাবে মিশে আছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের এক নাম, ঢেঁকি। আধুনিকতার কষাঘাতে ও যান্ত্রিক নির্ভর জীবনে, বাঙালী নারীদের জীবন থেকে বিলীন হতে চলেছে আজ ঢেঁকির ব্যবহার। ফলে অধিকাংশ বাঙালী নারীরাই অলসতার মধ্যেই জীবন যাপন করছে। ফলে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদিত ফসলের তৈরি করা খাবারও হারাতে বসেছে। পুষ্টি সম্মৃদ্ধ ঢেঁকি ছাঁটা চাল, আটা,ডাল,হলুদের গুড়ো, চিঁড়া ও ছাতু মাখা মুড়ি সচারাচর সব বাড়িতেই এখন আর পাওয়া যায় না। কেবল ঐতিহ্য ধরে রাখা কিছু সংখ্যক চাষি পরিবারে পাওয়া যায়। যেখানে আছে গোয়াল ভরা গরু, পুকুরভরা মাছ,আর মাঠ ভরা ধান। যেখানে গেলে গ্রাম বাংলার ৃ ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি সহযোগিতার ব্যাপারে জানতে চাইলে, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। তবে
বর্তমান প্রযুক্তি ও আধুনিকতার যুগে ঢেঁকিছাঁটা চাল, গুড়া, চিড়া, ছাতু সহ বিভিন্ন সুসাধু খাবার তৈরি করা প্রায় বিলুপ্তির পথে। ঢেঁকি ছাটা খাবার বেশ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত, এটা যদি সাধারণ মানুষের মধ্যে জানানো যায় তাহলে আবারও এই ঢেঁকি ছাঁটা খাবার ও চালের চাহিদা বাড়বে। পাশাপাশি সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে নায্যমূল্য পেলে সাধারণ কৃষক পুনরায় ঢেঁকির ব্যাবহারে বিভিন্ন খাবার উৎপাদন শুরু করবে।
এব্যাপারে, প্রেসক্লাব সভাপতি আবুজাফর,সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান রিন্টু, সহ সভাপতি রহিদুল ইসলামের সাথে একমত পোষন করে বলেন প্রত্যেক গ্রামে ঢেঁকিকে বাচিয়ে রাখার জন্য সরকারী সহায়তা দিয়ে ঢেঁকির ঘর তৈরী করে দিয়ে ঢেকি স্থাপন করলে, এ কুটির শিল্পটা টিকে যেতে পারে। সাথে সাথে আগামী প্রজন্ম ঢেঁকির ব্যবহার সর্ম্পকে জানতে পারবে। ঢেকিছাটা চালের গুনাগুন ও উপকারিতা সর্ম্পকেও জানতে পারবে।