তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। প্রকার ভেদে যে পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা দর ছিলো খুচরা বাজারে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, এমনটিই বলছেন পেঁয়াজ আমদানি কারকরা। হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে। আবার ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দামে পাইকারী কিনে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা খুচরা দরে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী লতিফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সকালে এক দাম, আবার বিকালে আরেক দাম। আর দিনে দিনে দাম বাড়ার কারনে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে হচ্ছে আমাদের তর্কবিতর্ক। আজ সকালে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে পেঁয়াজ পাইকারী কিনে তা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করছি। একজন খুচরা পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, প্রতিদিন বাজারে সবজি কিনতে আসলেই পেঁয়াজের দাম নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ কিনেছিলাম ২৪ টাকা দরে। কম দামের জন্য বেশ কয়েক কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলাম। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা। তাই বেশি কিনার পরিকল্পনা থাকলেও অল্প করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী গ্যামা শেখ বলেন, গতকাল আমি বন্দর থেকে ৩৮ টাকা দরে আমদানি কারকদের নিকট পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। শুক্রবার পোর্ট বন্ধ রয়েছে। গতকালকের পেঁয়াজ আজ ৪০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করছি। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে বর্তমান পেঁয়াজের আমদানি কম। তাই চাহিদার তুলোনায় আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিন সপ্তাহ আগে প্রতিদিন ৪৮ থেকে ৫০ টি পেঁয়াজের গাড়ি আমদানি হতো বন্দরে। এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজের গাড়ি আমদানি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৮ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তিনি আরও জানান, পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি হলে আবারও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।