ভিটামিন ও খনিজ শরীরের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। তবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরে একাধিক ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। আর এ কারণে শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। হাত পায়ে ঝি ঝি ধরা থেকে শুরু করে মুখে ঘা ইত্যাদি সমস্যার কারণও হতে পারে ভিটামিনের ঘাটতি। তেমনই ভিটামিনের ঘাটতির আরও এক লক্ষণ হলো জিহ্বায় ফাটল ধরা। একে স্ক্রোটাল টাং বলা হয়। এক্ষেত্রে জিহ্বায় ফাটল দাগ দেখা দিতে পারে কিংবা খাঁজকাটা বা কুঁচকে যেতে পারে। ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি ৯ (ফোলেট) ও ফেরিটিন (লোহা স য় করে এমন একটি প্রোটিন) এর ঘাটতির কারণে এই অবস্থা ঘটতে পারে।
জিহ্বায় এমন ফাটল দেখা দিলে অস্বস্তি হয়, বিশেষ করে মসলাদার খাবার খাওয়ার সময় জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে সাইট্রাস ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
স্ক্রোটাল জিহ্বা হলে কী করবেন? এক্ষেত্রে মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। জিহ্বা পরিষ্কার করার রুটিন অনুসরণ করতে হবে। তবে স্ক্রোটাল জিহ্বা দেখা দিলে প্রথমে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। কী কী খাবেন জেনে নিন- ভিটামিন বি ১২এর ঘাটতি মেটাতে গরুর মাংস, কলিজা, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, মাখন, পনির ইত্যাদি খেতে হবে। চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করতে পারেন।
ভিটামিন বি ৯ কে ফোলেট বলা হয়। ব্রাসেলস স্প্রাউট, ছোলা, কিডনি বিনস, বাঁধাকপি, কেল ও পালং শাক ইত্যাদি শাক-সবজিতে পাওয়া যায় এই ভিটামিন। ফলিক অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন এক্ষেত্রে।
কুঁচকানো বা ফাটা জিহ্বা ছাড়াও, ফোলেটের ঘাটতির কারণে ক্লান্তি, শক্তির অভাব, হাত পায়ে ঝি ঝি ধরা, জিহ্বায় ঘা, মুখের আলসার, পেশী দুর্বলতা ও দৃষ্টি বিঘিœত হতে পারে। এছাড়া মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা যেমন- বিভ্রান্তি, বিষণ্নতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, বোঝাপড়া ও বিচারের মতো সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন বি ৯ এর ঘাটতির কারণে হার্টেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এমনকি হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, অস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভাবস্থার সমস্যা হতে পারে এই ভিটামিনের ঘাটতিতে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া