সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

অর্থনৈতিক ব্যর্থতা কি অর্থশাস্ত্রেরও ব্যর্থতা

অ্যাংগাস ডেটন
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নতুন বছরে পা ফেলে আমরা নতুন প্রপঞ্চের মুখোমুখি হচ্ছি। পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক বিশ্বে অর্থনৈতিক বিপর্যয় অর্থশাস্ত্রের দুর্বলতাকেও সামনে এনেছে। সমালোচনার তীর তাই অর্থনীতিবিদদের দিকেও নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে অর্থনীতিবিদরা কীভাবে এবং কতটুকু দায়ী সে প্রশ্ন অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
বিশ্বে অর্থনীতিবিদদের ভূমিকা নিয়ে ২০১০ সালে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছিল। অস্কারজয়ী এ তথ্যচিত্রে অর্থনীতিবিদদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যেখানে তারা অর্থলোভী লবিস্ট এবং ধনীদের তল্পিবাহক। যারা ধনীদের কাছ থেকে বড় অংকের উপঢৌকন গ্রহণ করেন। আমাদের রাজনীতির প্রতিফলন থাকে পলিসিতে। কোনো পলিসিতে যদি ১০০ অর্থনীতিবিদ সমর্থন জানান, তখন দেখা যাবে অন্য ১০০ জন দাঁড়িয়ে গেছেন তার বিরোধিতায়। এছাড়া কোনো পলিসিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকলেও অনেক অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করে বসেন। এটা অনেক ক্ষেত্রে বিপর্যয় নিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও বুঝদার সমালোচকরা বলছেন, অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে অর্থনীতিবিদদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এবং এতে ক্ষতি করার ক্ষমতাও থাকছে বৈকি। কিন্তু এ সমস্যা কি গুটিকয়েক ক্ষমতাধর ব্যক্তির সৃষ্টি নাকি পুরো ডিসিপ্লিনই দায়ী? এ নিয়ে আলোচনা এগোনো যায়।
আমি বরং পরের হাইপোথিসিসটা সমর্থন করি। মার্কিন গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ কেবল সংখ্যালঘু অংশের স্বার্থ পূরণ করে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে অল্প শিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। বরং তারা হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না।
অর্থনীতিবিদরা শুধু যে সংকটের পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তা-ই নয়, বরং কিছু ক্ষেত্রে তারা সেদিকে নিয়ে গেছেন। কারণ তারা বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের গর্বিত প্রবক্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন, যার ফল শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘু, এলিট অংশের ঘরে উঠেছে। লাখ লাখ লোক চাকরি হারিয়েছে এবং সাধারণের জীবনে শূন্যতা নেমে এসেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, মৃত্যু ও নৈরাজ্যজনক এ পরিস্থিতির মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তারা ওইসব লোককে দোষারোপ করছেন যারা ওইসব পিছিয়ে পড়া মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করছেন।
পরামর্শ প্রদান ও সম্মতি উৎপাদন
আমার বন্ধু ও সহকর্মী অ্যালান এস ব্লাইন্ডার অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেন। বিভিন্ন সরকার ও নীতিনির্ধারণী কাজে ভূমিকা পালন করা এ অর্থনীতিবিদ বলছেন, রাজনীতিবিদরা কদাচিৎই অর্থনীতিবিদদের সুপারিশ আমলে নেন। মাতাল যেমন রাস্তার পাশের খাম্বাকে আলোকবর্তিকা নয় বিপদের সহায় মনে করে তেমনি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন রাজনীতিকরা। সমস্যাটা ওই জায়গায় নয় যে বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ প্রভুদের সন্তুষ্টির জন্যই টোটকা সমাধান দেন। বাছাইয়ে সমস্যার কারণে অনেক সুপরামর্শের অপব্যবহার সেখানে বরং সমস্যা। একই কথার প্রতিধ্বনি পাই জ্যাসন ফারম্যানের কাছে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের বেশ প্রভাব রয়েছে এমন দাবির সঙ্গে একমত নন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। এ পেশায় ওই ধরনের ক্ষমতা পাওয়ার কেবল স্বপ্নই দেখতে পারেন তারা। অন্যান্য প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা অর্থনীতিবিদদের মন্তব্য, মন্দ জিনিস ঠেকাতে তারা বরং নেতিবাচক কিছু ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতিবিদদের অবশ্যই বাজেট ব্যবস্থার প্রতি সম্মান রাখতে হয়। কিন্তু তারা প্রায়ই নিজ নিজ কল্পনার রাজ্যে বসবাস করেন- তাদের বিভিন্ন টোটকা প্রকল্প অলৌকিক ফল বয়ে আনবে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছুটা বাস্তববাদিতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন কাউন্সিল অব ইকোনমিক অ্যাডভাইজার্স (সিইএ) বা কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের অর্থনীতিবিদরা। ব্লাইন্ডার ও ফারম্যানের অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হলেও সবসময় নয়। লরেন্স এইচ সামারস ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তার প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ফটকা কারবারিতে বৈশ্বিক অর্থপ্রবাহের রাশ টেনে ধরেছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন চটকদার ও প্রতারণামূলক বাণিজ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে এটাও স্মর্তব্য, ব্লাইন্ডার এবং জোসেফ ই স্টিগলিজসহ অন্য অর্থনীতিবিদরা এ সিদ্ধান্তগুলোর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই যুক্তি দেখিয়েছেন, ক্লিনটন যুগের ওই পরিবর্তনগুলো ১৯৯৭-৯৮-এর এশীয় আর্থিক সংকট এবং এর এক দশক পর বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে ভূমিকা রেখেছে।
ক্লিনটন প্রশাসনে রবার্ট রুবিন যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন সামারস ছিলেন তার ডেপুটি। উদারপন্থী বিজনেস ইকোনমিস্ট অ্যালান গ্রিনস্প্যান তখন ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ে অনেকটা টিপ্পনী করে তিনজনকে ‘?কমিটি টু সেভ দ্য ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে কভার স্টোরি করেছিল টাইম সাময়িকী। বৈশ্বিক মন্দা ঠেকাতে কীভাবে তারা তখন পর্যন্ত ভূমিকা রেখেছিল তা ছিল আলোচ্য বিষয়।”ওই কভার স্টোরিটি এমন একসময়ে এসেছিল যখন বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ বিরাগের চেয়ে প্রশংসাই পেতেন। আমরা ওই সময়ে অল্পবিস্তর জেনেছিলাম, অতীতের প্রবৃদ্ধি আটকে দেয়া রীতিনীতিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম আধুনিক অর্থশাস্ত্র। অতীতের বদ্ধ ওই রীতিনীতি বিজ্ঞান নয় বরং কুসংস্কার এবং মিথের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। আমার মনে হচ্ছে, অর্থনীতিবিদরা এখন তাদের ভুলের মাশুল গুনছেন।
আগের পর্বটা যে কিছুটা ব্যতিক্রমী তা স্বীকার করে নেয়াই উত্তম। এখন যিনি মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন সেই জ্যানেট ইয়েলেন সুদক্ষ এক অর্থনীতিবিদ। কিন্তু তিনি তার নব্বই দশকের পূর্বসূরিদের মতো ক্ষমতা উপভোগ করেন না। নিউইয়র্ক টাইমসে এজরা ক্লেইন তার পর্যবেক্ষণে জানান, অভ্যন্তরীণ আলোচনায় জ্যানেট ইয়েলেনের কিছুটা গুরুত্ব থাকে। যেমনটা থাকে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের। সংলাপে অনেকগুলো কণ্ঠের একটি অর্থনীতিবিদরা, তাও আবার প্রভাবশালী কোনো কণ্ঠস্বর নয়।” ক্লিনটন বা ওবামা যেভাবে অর্থনীতিবিদদের কথা শুনেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে রকম নন। এর বাইরে কথা হলো, ইয়েলেন ও সামারসরা নিজেরাই ভিন্ন খাত থেকে এসেছেন। একাডেমিক অর্থনীতিবিদরা সাধারণত মার্কিন অর্থনীতিবিদ হতেন না।
লেখাজীবীদের ক্ষমতা
জীবনের বেশির ভাগ সময় নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিয়ে কাটানো জন মেনার্ড কেইনস অর্থনীতিবিদদের ক্ষমতা সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন। তিনি মনে করতেন, অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দার্শনিকদের আইডিয়া ভুল বা সঠিক যা-ই হোক না কেন সাধারণের কল্পনার বাইরে তার পরিণতি। বিশ্ব ব্যবস্থায় আর সব জিনিসের প্রভাব সীমিত। ‘?ভুল’ শব্দের প্রয়োগ এখানে লক্ষণীয়। শুধু যে ভালো আইডিয়াই টিকে থাকে এবং ব্যাপৃত হয় বিষয়টা এমন নয়। ভুল আইডিয়াও সম শক্তিশালী।
উদাহরণ হিসেবে আনতে পারি জ্যাব হেনসারলিংয়ের কথা। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালে হাউজ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন টেক্সাস থেকে আসা এ রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ। তিনি বলতেন, মুক্ত বাজারের আরো বিস্তৃতির পক্ষে লড়তে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। তার মতে, সর্বাধিক মানুষের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিহিত মুক্তবাজার অর্থনীতিতেই। হেনসারলিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে জেমস কোয়াকের তত্ত্ব বাস্তব রূপ পেয়েছে। যাকে ‘?ইকোনমিজম’ বা”অর্থনীতিবাদ”বলে অভিহিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাটের এ অধ্যাপক। তিনি এমন কিছু লোকের বর্ণনায় এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যারা মনে করে অর্থশাস্ত্রের প্রাথমিক কেতাবাদিতে যে রকম আলাপ রয়েছে সেভাবেই পরিচালিত হয় বিশ্ব অর্থনীতি। স্পষ্টতই, সেই পাঠ্যপুস্তকগুলোর গুরুত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০ শতাংশ কলেজছাত্র অর্থনীতির অন্তত একটি কোর্স পড়ে থাকে। তাদের একটা অংশ ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং সিইও।
অর্থশাস্ত্রের ডানপন্থায় যেমন অনেক ত্রুটি এসে ভর করেছে তেমনি বামপন্থাতেও মূর্খতা জেঁকে বসেছে। ডানপন্থীরা যদি বাজারের ত্রুটিগুলো দেখতে না পারে, তবে বামরাও সরকারের ত্রুটিগুলোর প্রতি সমানভাবে অন্ধ থেকে যেতে পারে। এতে বাজারের ত্রুটিগুলোর নির্ভরযোগ্য সংস্কার বাধাগ্রস্ত হয়। সাধারণ কল্পনা, জনগণের প্রতিনিধি হচ্ছে সরকার। সম্পূর্ণ সচেতন নাগরিকদের মাধ্যমে নির্বাচিত এ সরকারের কাজ হলো বাজারের ত্রুটি; একচেটিয়া প্রবণতা, শ্রমিক শোষণ বা আয়বৈষম্যের সংশোধন করা। কিন্তু বাস্তবে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এভাবে কাজ করে না। অন্য সরকারগুলোর মতো তারা প্রায়ই সংকট আরো বাড়িয়ে তোলে। এবং তাদের দায়বদ্ধতা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার কাছে নয় বরং ব্যবস্থার সুবিধাভোগী গুটিকয়েক অংশের কাছে।
আমার দৃষ্টিতে মূলধারার আধুনিক অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হলো এর সীমিত পরিধি। মানবকল্যাণের অধ্যয়নের মূল ভিত্তি থেকে এ ডিসিপ্লিন অনেক দূরে চলে গেছে। অমর্ত্য সেন যেমন দাবি করেছেন, অর্থশাস্ত্র তখনই লাইনচ্যুত হয়েছে যখন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এল রবিন্স একটি প্রপঞ্চ হাজির করেছেন। এখন বিখ্যাত হয়ে পড়া ওই ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, সীমিত সম্পদ প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খাতের মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্তই অর্থশাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়। এ তত্ত্বটি অর্থশাস্ত্রের সীমাকে আটকে দিয়েছে। যেখানে হিলারি পুটনামের মতো মার্কিন দার্শনিক ও এডাম স্মিথের মতো ক্ল্যাসিক্যাল অর্থনীতিবিদরা সামাজিক কল্যাণকে অপরিহার্য জ্ঞান করেছিলেন।
এল রবিনসের অবস্থানের ত্রুটি দূর করতে আর্থার পিগোর দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের গোড়ার দিকের এ অর্থনীতিবিদ লিখেছেন, বিস্ময় নয় বরং সামাজিক সংকট নিরসনের মানবিক প্রয়াস থেকে অর্থশাস্ত্রের উদ্ভব। কেইনসের ‘?জেনারেল থিউরি’তে এর সারবত্তা উঠে এসেছে। তার বয়ানে মানবজাতির রাজনৈতিক সংকট হলো- কীভাবে অর্থনৈতিক দক্ষতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মতো তিনটি বিষয়কে সমন্বয় করা যায়।
মনে হচ্ছে, আমরা কেইনসের তিন প্রপঞ্চের দুটো পরিত্যাগ করেছি। আমাদের এ আবদ্ধ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার যে অর্থই মানবকল্যাণের একমাত্র পরিমাপক। সমাজতাত্ত্বিকরা কীভাবে চিন্তা করেন তার সঙ্গে অর্থনীতিবিদদের সম্যক পরিচয় রাখা আবশ্যক। সর্বোপরি, আমাদের দার্শনিকদের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটানো উচিত যাতে এ ডিসিপ্লিনের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে পারি। ( দৈনিক বণিকবার্তার সৌজন্যে) [স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট] অ্যাংগাস ডেটন: ২০১৫ সালে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ; প্রিন্সটন স্কুল অব পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ইংরেজি থেকে ভাষান্তর: সাবিদিন ইব্রাহিম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com