স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় এবার নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে গম চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকমহল। কৃষকদের চাষাবাদকৃত গমের বাম্পার ফলনও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে তাদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। জেলার উপজেলাসহ বেশ কিছু গ্রামাঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে দিগন্ত জুড়ে দুলছে গাড় সবুজের গম ক্ষেত। সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের গম চাষী ইব্রাহিম জলিল (সুজন) জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেয়ে ৮২ শতক জমিতে গম চাষ করেছেন তিনি। ধানের চেয়ে গম চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এজন্য আমি এ বছর গম চাষ করেছেন ফলন ভালো হইছে। এই বছর কৃষি অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনা সার ও বীজ পেয়েছেন। নিয়মিত জমির পরিচর্যার পাশাপাশি ছত্রাক সহ নানা ধরনের রোগবালাই থেকে বাঁচতে বালাইনাশক স্পেস করেছেন। কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ মৌসুমে গমের ভালো ফলন হবে তিনি আশা করছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক পদ্ধতিতে গম চাষ উৎপাদিত ফসল সঠিক মূল্য বিক্রি করতে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষক নতুন জাতের গমের প্রদর্শনী, সুষম সারের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান ও বালাই দমনে কোয়ালিটি সমৃদ্র বালাইনাশক এবং হাইব্রিড জাতের বীজ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মাঠ পরিদর্শন করছেন কৃষকের মাঝে গণসচেতের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন উদ্বুদ্ধকরণ চলছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী প্রতিদিন বাংলাদেশকে বলেন,চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু চাষ হয়েছে সাড়ে আট হেক্টর জমিতে ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল গম উৎপাদন ভিত্তিতে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।