বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

হিলি বন্দর দিয়ে ৭ বছর ধরে ফল আমদানি হচ্ছে না

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হলেও ফল (আপেল, আনার, আঙ্গুর, কেনু,কমলা, আম) আমদানি হচ্ছে না দিনাজপুরে হিলি বন্দরে। তাই হিলি বাজারের ফল বিক্রেতাদের বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল এনে বিক্রি করতে হয়। এতে লেবার খরচ, পরিবহন খরচ সবকিছু মিলিয়ে প্রতিটি ফলে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি পড়ে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। ক্রেতারাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে এসব ফল কিনছেন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, ফল আমদানিতে শুল্ক নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কিছু জটিলতা ও দুরত্বের কারণে আমদানিকারকেরা হিলি বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে উৎসাহিত হচ্ছেন না। আর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, হিলি বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে কোনো বাধা নেই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর নীতিমালা অনুসরণ করে ফল আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকেরা। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয় ফল বিক্রেতরা ও হিলি বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি বাজারের ফল বিক্রেতরা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আগে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হতো। আর এখন বেনাপোল, সোনামসজিদ, ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফল (আপেল, আনার, আঙ্গুর, কেনু, কমলা) হিলিতে আনতে হচ্ছে। তবে আমরা ঢাকা থেকে আনি না। আমরা বিরামপুর থেকে আনি। আমাদের মহাজন বিভিন্ন বন্দর থেকে থেকে এসব ফল নিয়ে এসে বিরামপুরে মজুত করেন। আমরা বিরামপুর থেকে নিয়ে আসি। ফল ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে ফল আমদানি না হওয়ায় অন্য বন্দরের আমদানিকৃত ফল আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লেবারসহ পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। আমরা প্রতিকেজি আঙ্গুর ২৫০ টাকা, কমলা ২০০ টাকা, মাল্টা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আনার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। হিলি বন্দর দিয়ে এসব ফল আমদানি হলে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম হতো। হিলি বন্দরের কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ মেসার্স খাঁন এন্ড সন্স এজেন্সীর মালিক এনামুল হক খাঁন বলেন, ২০১৭ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে আমদানিকৃত ভারতীয় ট্রাকের চাকার ওপর ভিত্তি করে পণ্যের ওজন নির্ধারণ করে দেওয়ায় আমদানিকারকেরা এই বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন। এরফলে প্রায় ৭ বছর ধরে এই বন্দর দিয়ে কোনো ধরনের ফল আমদানি হচ্ছে না। তিনি বলেন, এনবিআর’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমদানিকারকেরা ভারতীয় ৬ চাকার ট্রাকে ১৬ মেট্রিক টন আর ১০ চাকার উপরের ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন কমলা, কেনু ,মাল্টা, ৬ চাকার ট্রাকে ১৭ মেট্রিক টন আর ১০ চাকার উপরের ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন আঙ্গুর, ৬ চাকার ট্রাকে ১৭ মেট্রিক টন আর ১০ চাকার উপরের ট্রাকে ২৪ মেট্রিক টন আনার, আপেল, ৬ চাকার ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com