চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পদুয়া বন রেঞ্জের আওতাধীন হাঙ্গর বনবিটের নাকের ডগায় ধলিবিলা হানিফার চর হাজি আবদু রহমানের পুকুরে সংলগ্ন প্রায় কয়েক হাজার ফুট অবৈধ গোল সেগুন কাঠ পাচারের উদ্দেশ্যে স্তুপ করেছে বনদস্যুরা। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে এমন চিত্রের দেখা মিলে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সরেজমিনে দেখতে গেলে, উপস্থিতি টের পেয়ে কাঠ পাচারে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে আবদুল মাবুদ সহ কিছু প্রভাবশালী বনখেকোরা আরো কয়েকজন গাছ ব্যাপারী অবৈধভাবে সরকারি সংরক্ষিত বাগান থেকে দিনে-রাতে নানান কৌশলে সেগুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ দিনমজুর দিয়ে নির্বিচারে কেটে লোহাগাড়ায় ইট ভাটায় সরবরাহ করা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে আসছে। বনবিট কার্যালয়ের সামনে কিভাবে নিয়মিত এসব অবৈধ কাঠ পাচার হচ্ছে তা নিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন রয়ে যায়। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, “বনবিভাগের লোকজনের সাথে কাঠ ব্যবসায়ীদের মাসিক লেনদেন রয়েছে। নাহলে পার্শ্ববর্তী বান্দরবানের মিঠাখালী, ভাগ্যেরকুল, ব্রিকফিল্ড বাজার সহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে সেগুন সহ নানা প্রজাতির বনজ কাছ কেটে রাতের আঁধারে গাড়ি করে হাঙ্গর বিটের সামনে দিয়েই কিভাবে পাচার হয়?” এলাকার সচেতন মহল বলেন, “রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় চলে আসে তখনই দেশের পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসে। তাছাড়া, এসব কাঠ বোঝাই গাড়ির কারণে গ্রামীণ যোগাযোগ সড়ক দিন-দিন খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে। যার কারণে স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘœ ঘটছে।” পরবর্তীতে সংবাদ কর্মীরা চলে আসার পর মুঠোফোনে কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ বলেন, “আমি সব জায়গায় ম্যানেজ করে গাছ ব্যবসা পরিচালনা করি।” কোথায় ম্যানেজ করেছে তা জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে আসবে বলে কল কেটে দেন। এ ব্যাপারে হাঙ্গর বিট কর্মকর্তা মাহবুবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এসব দেখাশুনা করেন পদুয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা। তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পদুয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মন্জুর মোরশেদ জানান, “বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই, আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। সরজমিনে পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।