উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে নাব্যতা সংকটে জাহাজ ভিড়তে না পারা ও নানা সংকটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দরটি জাহাজশুণ্য হয়ে পরেছে। অপরদিকে হাতে কাজ না থাকায় এ বন্দরের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌ-বন্দরটি প্রায় জাহাজশুন্য। অলস সময় পার করছে বন্দরের কর্মরত শ্রমিকরা। জানাগেছে, সুষ্ক মৌসুমে নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বন্দরমুখী নদীতে চর জেগে ওঠায় মালবাহী জাহাজ কার্গো সময়মত ভীড়তে পারছে না। এ বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় শত শত সার,কয়লার গাড়ী ও জ্বালানী তেলবাহী ট্যাংক। বন্দরে জাহাজ না আসায় শুধু শ্রমিকরা নয় এর সাথে জড়িত ট্রাক সহ বিভিন্ন পন্যবাহী ট্রাকসহ গাড়ীগুলো বেকার পড়ে আছে সেইসাথে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ড্রাইভার ও হেলপাররাও বেকার হয়ে বসে আছে। শ্রমিকরা জানায়, জাহাজ না আসায় হাতে কাজ নেই। কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন, দুই মাস হলো বাঘাবাড়ী নৌ বন্দর অচল হয়ে পড়ে আছে। একদিকে নাব্যতা সংকট, অন্যদিকে পরিবহন ঠিকাদাররা সবাই বাঘাবাড়ীতে জাহাজ না ভিড়িয়ে পণ্যবাহী জাহাজগুলো মংলা থেকে নিয়ে এসে খুলনা, যশোরসহ অন্যরুটে আনলোড করে মাল পৌছে দিচ্ছে। এ কারণে বাঘাবাড়ী নৌ বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে না। এমন কি নগরবাড়ীতেও মালবাহী জাহাজ আসেনা। আমার বাঘাবাড়ী নৌ বন্দরে দেড় হাজার শ্রমিক বেকার, আমার প্রতিমাসে ২০/২৫ লাখ টাকা পকেট থেকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে আমরা ব্যাবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছি যেন, বাঘাবাড়ি বন্দরটি অচলাবস্থা দুড় করে সচল করার ব্যাবস্থা করা হয়। বন্দরের লেবার হ্যান্ডেলিং এ্যসিস্ট্যান্ড কর্মকর্তা আসিফ হোসেন দুলালও একই কথা বলেন। তিনিও দ্রুত এ সমস্যা সমাধান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।