মুন্সীগঞ্জ জেলার গ্লোরিয়া ফাউন্ডেশন ও জাপানের ফুজিসান আর্ট সংগঠনের আয়োজনে চিবাকেন জেলায় গতকাল সোববার ১৯ই মার্চ সারাদিন ব্যাপি বাংলাদেশ ও জাপান যৌথ আয়োজনে শিশু বাচ্চাদের হাতে আর্ট করা বিভিন্ন চিত্র কর্ম প্রদর্শনী করা হয়। উক্ত প্রদর্শনে বাংলাদেশের পক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলার সন্তান জাপান-বাংলাদেশ কতৃক পরিচালিত গ্লোরিয়া ফাউন্ডেশনে সভাপতি মোঃ তারিক বিশেষ অতিথী হিসেবে সম্মমনায় ভূষিত হয়ে আয়োজনকে সার্থক করে দেশের সম্মান সমুন্নত রাখেন।দীর্ঘদিন ধরে জাপানের ওসিনো ফুজি সংগঠনের মিঃ মাসাও সেকিয়ার কাজ করছে বাংলাদেশের গ্লোরিয়া ফান্ডেশনের মাধ্যমে প্রাইমারি বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। গত ১৯ ই মার্চের অনুষ্ঠানে জাপানের চিবাক্যান জেলার ইচিহারা সিটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাপান সংসদ সদস্য সাকুম তাকাই ইউসি, ওসিনো ফুজির মেয়র মিঃ আমানো তাকিও, এবং বাংলাদেশ জাপানের সমন্নয়ক মিঃ মাসাও সেকিয়া। প্রধান অতিথি মিঃ সাকুম তাকাই ইউসি বাংলাদেশের শিশুদের প্রতিভার প্রশংসা করেন এবং চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের বিষয় নানা দিক কথা তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সাথে নিজেকে গড়ে তুলার জন্যে নিজের জ্ঞান কে আরো প্রক্ষরতায় নিতে সাংন্কৃতি চর্চার বিকল্প নাই। ইতিমধ্যে মিঃ মাসাও সেকিয়া বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় শিশুদের আর্ট ও শিক্ষা সাংস্তৃতির মান বিষয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সফর করে গেছেন, যা শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশের পক্ষ মুন্সীগঞ্জ জেলার গ্লোরিয়া ফাউন্ডেশন নানা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজকে আরো সু শিক্ষার জন্য এবং নিজের কর্মকে আরো শক্তিশালি রুপ দেওয়ার লক্ষে ছাত্রজীবনকে আনন্দময় করে রাখার উদেশ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতি চর্চায় তাগিদে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাপান সাংস্কৃতিক সমন্বয়ক মিঃ সাসাও সেকিয় বলেন বাংলাদেশের শিশুদের প্রতিভা আছে। তবে এই প্রতিভাকে কাজে লাগালে বাংলাদেশীরাও আমাদের জাপানের ন্যায় উন্নয়ন হতে বেশী সময় লাগবে না। ছাত্র জীবনকে শুধু ছাত্রত্ব ধরে রাখলেই হবে। বাংলাদের মানুষ খুবই পরিশ্রমী। তাদের দিক নির্দেশনা ভালো। পরিশ্রমকে শুধু সঠিক নিয়মে কাজে লাগাতে পারলেই আজকের বাংলাদেশ আগামীতে জাপান ন্যায় রুপ পাবে। একটি জাতিকে শিশু কালের সময়কে সঠিক নিয়মে কাজে ব্যায় করলে ঐ শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ একজন সু-নাগরিক হিসেবে সারা বিশ্ব জয় করবে আশা প্রকাশ করেন।